সেন্ট ভিনসেন্টে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় টাইগারদের

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সেন্ট ভিনসেন্টে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল লিটন দাসের দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১২৯ রান করে বাংলাদেশ। জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২১ রান। টাইগারদের হয়ে ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম পাটোয়ারী। এছাড়া ২৫ বলে করেছেন ২৬ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৫ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন গুডাকেশ মোটি। ১টি করে নেন আকিল হোসেন, রোস্টন চেইজ, আলজারি জোসেফ ও ওবেদ ম্যাককয়। ১৩০ রানের জবাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ওপেনার জনসন চার্লস। তার ব্যাটে ২ ওভারেই যোগ হয় ১৯। কিন্তু তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই প্রথম বলে ওপেনিংয়ে আঘাত করেন তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে তালুবন্দি করিয়েছেন তিনি। কিং ৫ বলে ১ চারে ফিরেন ৮ রানে। তাসকিন একই ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান আন্দ্রে ফ্লেচারকেও। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফ্লেচার। এজ হয়ে লিটনের গ্লাভসে জমা পড়েছেন শূন্য রানে। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে জনসন চার্লসকে ফেরান শেখ মেহেদী। চার্লসের ১২ বলে ১৪ রানের ইনিংসে ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ১টি ছয়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভার এসে ফের নিকোলাসকে সাজঘরে পাঠান শেখ মেহেদী। এতে পাওয়ার ফ্লের ৬ ওভারেই ৪ উইকেটের পতন দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮ম ওভারে হাসান বোলিংয়ে ফিরেই তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের উইকেট। ৭ বলে ৬ রানে ফিরলেন তিনি। আর ৯ম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের বলে পুল করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন শেফার্ড। ৫ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেনি শেফার্ড। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৮৬ রান প্রয়োজন হলে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ বল বাকি থাকতে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৩১ বলে ৩১ রান করেন আকিল হোসেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে ১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের জন্য মধুরই বলতে হয়। বাংলাদেশের হয়ে ৩.৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন রিশাদ হোসেন, তানজিম হোসেন সাকিব ও শেখ মেহেদী। এছাড়া ১ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।