সিরিয়ায় এক গণকবরেই লাখ মরদেহের সন্ধান
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন ‘সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স’-এর প্রধান মুয়াজ মোস্তফা জানিয়েছেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাইরে একটি গণকবরেই অন্তত এক লাখ মানুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আসাদ। সাংবাদিকদের গণকবরের সন্ধান দিয়ে ‘সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স’-এর প্রধান মুয়াজ মোস্তফা বলেন, দামেস্ক থেকে ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) উত্তরে আল কুতেইফাহ এলাকায় গণকবরটি পাওয়া গেছে। কয়েক বছরে এলাকাটিতে যে পাঁচটি গণকবরের সন্ধান তিনি পেয়েছেন, এটি তারই একটি। মোস্তফার হিসাবমতে, এই গণকবরে কম করে হলেও অন্তত এক লাখ মানুষকে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তবে সিরিয়ায় পাঁচটি ছাড়াও আরও অনেক গণকবর আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব গণকবরে নির্যাতনের শিকার সিরীয় নাগরিক ছাড়াও বিদেশিরা আছে। এদিকে প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সোমবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত বিবৃতিটি আসাদের লেখা বলে দাবি করা হয়েছে। আসাদ বলেছেন, প্রথমত, আমার দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল না। এ ঘটনা যুদ্ধের শেষ মুহূর্তেও ঘটেনি। বিদ্রোহীদের ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তারা যখন রাজধানীতে প্রবেশ করছে, তখন উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার একটি রুশ সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে ড্রোন হামলা শুরু করলে মস্কোর অনুরোধে তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। অন্যদিকে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে পশ্চিমা দেশগুলো ধীরে ধীরে তাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে জার্মানি ও ফ্রান্সের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার দামেস্কে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এর আগে, সোমবার রাতে ব্রিটিশ কূটনীতিকরা নতুন প্রশাসনের নেতা আহমেদ আল-শারারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। খবর আলজাজিরা ও এএফপির