বিজয় দিবসের নানা আয়োজনে তিমুর লেস্তের প্রেসিডেন্ট
মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত তিমুর লেস্তের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা। সোমবার সকালে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিন শুরু করেন তিনি। বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গভবনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিমুর লেস্তের প্রেসিডেন্ট। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তিমুর লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা একসঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর উভয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এর পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এবং তিমুরের প্রেসিডেন্ট সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন। এ সময় উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানরা, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানার সৌজন্যে বঙ্গভবনে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন হোসে রামোস হোর্তা। রাষ্ট্রপতি সফররত জোসে রামোস হোর্তাকে নিয়ে ভিভিআইপি এনক্লোজারে কেক কাটেন। বঙ্গভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারসহ কয়েক হাজার অতিথি যোগ দেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘দ্য চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’-এর ওপর বক্তব্য দেবেন জোসে রামোস হোর্তা। বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশে তাঁর দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তাঁর নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা-পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন। এরপর তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে গত শনিবার রাতে তিমুর লেস্তের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ঢাকা আসেন।