‘যদি তুমি ভালোবাসা চাও, তবে কোথাও না কোথাও আপস করতেই হবে’
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার ‘লেডি সুপারস্টার’ নয়নতারা। ব্যক্তিগত জীবনে পরিচালক বিগনেশ শিবানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। কিন্তু তার আগে কোরিওগ্রাফার প্রভুদেবার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এই অভিনেত্রী। আর প্রেমিকের পরামর্শে অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন নয়নতারা। ২০১১ সালে চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নয়নতারা। দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন এই অভিনেত্রী। নয়নতারা বলেন, “আমি আমার জীবনের এমন পর্যায়ে ছিলাম, যেখানে বিশ্বাস করতাম— জীবনে যদি ভালোবাসা চাই, তবে আমাকে আপস করতে হবে।” খানিকটা ব্যাখ্যা করে নয়নতারা বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে ভিন্ন ভিন্ন সম্পর্ক দেখেছি। আমি এটিকে খারাপ বা অন্য কিছু বলছি না। তবে এটি দীর্ঘ সময় ইন্ডাস্ট্রিতে দেখেছি। যেমন: দ্বিতীয় বিয়ে। ওই সময়ে আমি ভেবেছিলাম, ‘এটা ঠিক আছে।’ সেই সময়ে আমার মধ্যে যে মেয়েটি ছিল, সত্যি সে ভেবেছিল— ‘যদি তুমি প্রেম চাও, তবে কোথাও না কোথাও তোমাকে আপস করতে হবে। তোমাকে তোমার সর্বস্ব দিতে হবে। আপনি কিছু করুন, এটা যদি আপনার জীবনসঙ্গী না চায়, তবে আপনাকে তা ত্যাগ করতে হবে।’ সেই সময়ে ভালোবাসা সম্পর্কে এটাই আমার ধারণা ছিল।” প্রভুদেবার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ‘জীবন’ সম্পর্কে বড় উপলদ্ধি হয় নয়নতারার; যা তাকে অন্য মানুষে রূপান্তর করেছে। তার ভাষায়, “আমি যদি সেই সম্পর্কে না থাকতাম, তাহলে আজ যা হয়েছি, তা হওয়ার শক্তি পেতাম বলে মনে করি না। আমি কী করতে সক্ষম, তা বুঝতে পারতাম না। এ ঘটনার পর আমি সম্পূর্ণ আলাদা একজন মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম।” ২০০৮ সালে অভিনেতা, পরিচালক, কোরিওগ্রাফার প্রভু দেবার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নয়নতারা। ২০১০ সালে প্রভু দেবার স্ত্রী লতা এ বিষয়ে পারিবারিক আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। একই বছর স্ত্রী লতার সঙ্গে প্রভু দেবার বিচ্ছেদ হয়। ২০১২ সালে নয়নতারা জানান, প্রভুদেবার সঙ্গে তিনি আর সম্পর্কে নেই। ২০১৫ সালে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার শুটিং সেটে বিগনেশ শিবানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। ৭ বছর প্রেম করার পর ২০২২ সালের ৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বাঁধেন এই দম্পতি। একই বছর সারোগেসির মাধ্যমে জমজ পুত্র সন্তানের বাবা-মা হন তারা। ২০০৩ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘মনসিনাক্কা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে অভিষেক ঘটে নয়নতারার। এরপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন তিনি। বর্তমানে তামিল ভাষার ৪টি, তেলেগু ভাষার ১টি ও মালায়ালাম ভাষার ২টি সিনেমায় অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী।