থানার পাশের ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার পাশে এক কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে আজিমনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুই যুবকের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঘোষ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মো. জুয়েল রানা (৩১) ও একই এলাকার মতিউর রহমান (৩০)। এর আগে ৭ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ডাক্তার দেখানোর জন্য ফরিদপুরে যায়। সেখানে তার পূর্ব পরিচিত শিলা নামের এক মহিলা ফুসলিয়ে ভাঙ্গা থানার পাশে গ্রীন হাসপাতালের ওপরে তিনতলায় শিল্পী আফরোজীর ফ্লাটে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা দুই যুবক রাতভর কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। পরদিন বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ঘটনার দুইদিন পর বড় দুই বোনের সহায়তায় ৭ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। পরদিন ওই ছাত্রীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মোকসেদুর রহমান জানান, থানার পাশে একটি ফ্লাটে ১৭ বছর বয়সের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জুয়েল ও মতিউরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দুজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িতের কথা স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।