তুরস্কের মধ্যস্থতায় সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার উত্তেজনা নিরসনে চুক্তি
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তুরস্কের আঙ্কারায় সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এই চুক্তি ঘোষণা করেছেন, যার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানোর পথ সুগম হলো। এরদোয়ান এই চুক্তিকে ‘শান্তি ও সহযোগিতার নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়া দীর্ঘদিন ধরে তাদের অঞ্চলীয় বিতর্ক নিয়ে মতবিরোধে ছিল। বিশেষ করে, সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ড ও ইথিওপিয়ার সমুদ্রের পথের জন্য তেমন একটি সমঝোতা হয়নি। তবে এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ একে অপরকে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত এবং ইথিওপিয়া সমুদ্রপ্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিনের চুক্তির পর, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ধন্যবাদ জানান সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া নেতাদের, যারা এই ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, "এই চুক্তি আগামী দিনগুলোতে শান্তি ও সহযোগিতার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং ইথিওপিয়া সমুদ্রের নিরাপদ প্রবেশাধিকার পাবে।" এরদোগান আরো বলেন, "এই চুক্তি অতীতের বিতর্কের দিকে নজর না দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।" এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে আরও বিকাশিত সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তারা বাণিজ্যিক চুক্তি এবং সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা শুরু করবে। এই আলোচনা ফেব্রুয়ারির মধ্যে শুরু হবে এবং আগামী চার মাসে শেষ হওয়ার কথা। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদও চুক্তি নিয়ে বলেন, "সমুদ্রপ্রবেশের জন্য ইথিওপিয়া একটি শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে এটি নিয়ে এসেছে, যা আমাদের প্রতিবেশীদের জন্যও লাভজনক হবে।" সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেইখ মোহামুদ বলেন, “এই চুক্তি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের জন্য নতুন পথ তৈরি করেছে, এবং আমরা ইথিওপিয়ার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” এই চুক্তিটি তুরস্কের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে,যেটি জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনে সাহায্য করছে।এটি দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দুই দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে তাদের শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের পথ সুগম করবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা