সিরিয়ায় শান্তি-স্থিতিশীলতার ডাক অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির বলেন, এখন দেশটিতে শান্তি-স্থিতিশীলতার সময়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-বশির এ কথা বলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার। বিদ্রোহীদের অভিযানে গত রোববার সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়। বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির দুই দিন পর আল-বশিরকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তিনি ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবেন। আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল-বশির বলেন, এখন সিরিয়ার জনগণের স্থিতিশীলতা ও শান্তি উপভোগ করার সময় এসেছে। হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গত ২৭ নভেম্বর বাশার আল-আসাদ সরকার উৎখাতে অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহীদের ১২ দিনের ঝটিকা অভিযানে রোববার পতন হয় দুই যুগ ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। বিদ্রোহীদের হাতে রাজধানী দামেস্কের পতন হয়। বাশার আল-আসাদ দেশ থেকে পালিয়ে যান। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসিকে বলেন, বাশার আল-আসাদ এখন রাশিয়ার মস্কোয় আছেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার বৈঠক করেন এইচটিএসের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি, বাশার সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি ও আল-বশির। এর ধারাবাহিকতায় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এইচটিএসের প্রধান আল-জুলানি সিরিয়ায় নির্যাতন, যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাশার আল-আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ার শাসন নিয়ে আশঙ্কা দূর করারও চেষ্টা করেছেন আল-জুলানি। তিনি গতকাল স্কাই নিউজকে বলেন, সিরিয়া যুদ্ধ করে করে ক্লান্ত। সিরিয়া আর যুদ্ধে ফিরে যাবে না।