৪ বছর পর খুলছে ডাকসুর বন্ধ দুয়ার
দীর্ঘকালের অচলাবস্থার পর অবশেষে খুলছে ডাকসুর বন্ধ দুয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে ডাকসু নির্বাচন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছে বলেও জানান প্রক্টর। দীর্ঘ ৪ বছর অচল থাকার পর ২০২৫ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সচল হচ্ছে ডাকসু। এর আগে দীর্ঘ ২৮ বছর অচল থাকার পর ২০১৯ সালের মার্চে নির্বাচনের মাধ্যমে সচল হয় ডাকসু। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। এরপর করোনা এবং প্রশাসনের অনীহার কারণে ৪ বছর ধরে বন্ধ ছিল ডাকসুর দুয়ার। গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে ডাকসু ফের চালুর দাবি জানানো হয়। বার (৪ ডিসেম্বর) ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান নেতারা। এতে ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ঐক্যে পৌঁছেছে বলে ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আজকের সভায় আমরা একমত হয়েছি, জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ সারা দেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক। কারণ মার্চ মাসে রোজা। এদিকে, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দেওয়ার। ডাকসু হলে শিক্ষার্থীদের বৈধ প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসতে পারেন। আলোচনা করতে পারেন। আমরাও চাই সেটি। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি কেমন হবে তা নিয়েও কাজ করছে এ কমিটি। কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন মহলের সাথে বসে তাদের পরামর্শ ও দাবি শুনছেন। সে আলোকে আগামী ১০ ডিসেম্বর ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করবেন এই কমিটি।