ভারত-বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিল
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরে একটি বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠার আহ্বানে পরিচালিত হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কান্তি গাঙ্গুলি। এছাড়াও, হাজার হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষার দাবি জানান। মিছিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি দাবি জানান যে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করা উচিত এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে, মিছিলে বক্তৃতা প্রদানকারী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “যে কোনো ধরনের ধর্মীয় বা জাতিগত আক্রমণ, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর, তা আমাদের সমাজে বিভাজন তৈরি করবে। আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।” কান্তি গাঙ্গুলি বলেন, “এটি একটি মানবিক বিষয়। আমাদের সকলের দায়িত্ব হলো সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা। বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর এ ধরনের আক্রমণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেছেন যে, চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার ও এর পরবর্তী ঘটনাগুলি ধর্মীয় সংঘর্ষ ও আক্রমণকে উস্কে দিতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে বৈরিতার সৃষ্টি করতে পারে। তারা শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের সরকারকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানান। এই প্রতিবাদ মিছিল যাদবপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে প্রদক্ষিণ করে এবং শেষ হয় স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে, যেখানে আরো বক্তৃতা ও আলোচনার আয়োজন করা হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের প্রতিবাদ বাংলাদেশ ও ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা প্রশমিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তবে এ জন্য উভয় দেশেই সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ প্রয়োজন।