পাকিস্তানে ভুয়া খবর ছড়ালে জেল

৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

পাকিস্তানে কোনো ব্যক্তি যদি ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ৫ বছরের জেল অথবা ১০ লাখ রুপি জরিমানা করা হবে। প্রিভেনশন অব ইলেকট্রনিক ক্রাইম অ্যাক্ট, ২০১৬ (পিইসিএ) সংশোধনের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান সরকার। প্রাথমিকভাবে এতে প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার ( ৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়ে অনলাইন জিও নিউজ বলেছে, খসড়া প্রস্তাবে পিইসিএ আইনের বড় রকমের পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিটাল রাইটস প্রোটেকশন অথরিটি (ডিআরপিএ) নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি অনলাইনে কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা স্বার্থের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য প্রচার করেন, তাহলে ডিআরপিএ’কে সেই পোস্ট ব্লক করে দেয়া বা সরিয়ে ফেলার কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি ভুয়া তথ্য প্রচার করেন, উস্কানি দেন বা শান্তি বিনষ্ট করেন- তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে এতে। আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যাকে বা যাদেরকে অপরাধী পাওয়া যাবে তাদের উভয়কেই শাস্তি ও জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী এজেন্সি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবিশেষকে টার্গেট করে অনলাইনে কোনো পোস্ট দেয়া হলে তা ব্লক করে দেবে বা সরিয়ে ফেলার ক্ষমতা পাবে ডিআরপিএ। একই সঙ্গে ধর্মীয় বা জাতিগত ঘৃণা, সন্ত্রাস বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সহিংসতামূলক কন্টেন্টের ক্ষেত্রেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারবে। খসড়া আইনে আরও নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যেসব কন্টেন্টের মাধ্যমে হুমকি দেয়া হবে, মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করা হবে অথবা যেসব কন্টেন্ট পর্নোগ্রাফি বলে বিবেচিত হবে এই কর্তৃপক্ষ তা সরিয়ে ফেলতে পারবে। কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে। এর মধ্য দিয়ে আইনের শাসনে ভারসাম্য রক্ষা হবে। এই পরিষদ গঠিত হবে একজন চেয়ারম্যান এবং ৬ জন সদস্যকে নিয়ে। এর মধ্যে থাকবেন সাবেক তিনজন কর্মকর্তা। তারা দেশের সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল অধিকার সমুন্নত রাখবেন। পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যাপকভাবে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি। চলছে নানা অপপ্রচার। এসবকে জাতীয় স্বার্থের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রশাসন সাইবার অপরাধ বিষয়ক আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এক্স সার্ভিস ছাড়া পাকিস্তানে অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সম্প্রতি ভয়াবহভাবে ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ক্ষমতাসীন সরকার ইন্টারনেটে ফায়ারওয়াল ব্যবহার করে এরই মধ্যে বহু পরীক্ষা চালিয়েছে। জুলাইয়ে প্রথম এবং আগস্টে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা চালায় তারা। উভয় ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্লাটফরমে ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যায়। এতে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটে। তবে ইন্টারনেটের এই ধীরগতির বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ।