ভারতে বাংলাদেশী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২রা নভেম্বর) রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রধান ফটকে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ' দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'তুমি কে? আমি কে? বাংলাদেশী বাংলাদেশী', 'আগরতলায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই', 'ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও', 'ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান', 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম', 'যে দেশেতে খুনী রয়, তারা মোদের বন্ধু নয়', 'অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'আয় দিল্লী দেখে যা, রাজপথে তোর বাপেরা', বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনারা জানেন ভারতের আগরতলায় আমাদের দেশের হাইকমিশনারের কার্যালয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হামলা চালিয়েছে। আমরা হাবিপ্রবি'র সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় যে দেশে থাকবে সেই দেশ সেই কার্যালয় ও রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু ভারতের সরকার সেই ভিয়েনা কনভেশনের নিরাপত্তার যে দায়িত্ব তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ৫ই আগষ্টের পরবর্তী বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার জন্য ভারত ও তাদের এজেন্টরা চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বলতে চাই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান সবাই সম্প্রতির চাদরে মুড়িয়ে বসবাস করছে। আপনারা সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার কথা বলছেন, আমরা বলবো আপনাদের দেশে যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে তাদের নিরাপত্তা দিতে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আগে নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, তারপর অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলান। এসময় শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি শেখ রিয়াদ সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিলে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আজকের এই প্লাটফর্ম কোনো সংগঠনের একাী নয়।এই প্লাটফর্ম সাধারণ শিক্ষার্থীসহ শিবির, ছাত্রদলসহ সব রাজনৈতিক দলের। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, আমাদের মাতৃভূমির প্রশ্নে আমরা সবাই এক। আমি ভারতকে বলতে চাই আপনি এক খুনীকে আশ্রয় দিয়েছেন, আমরা চাই না আপনারা আর কোনো উস্কানিমূলক কাজ করেন৷ আপনারা প্রতিবেশী প্রতিবেশীর মতো থাকেন। আমাদের দেশের প্রশ্নে আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত আছি।