এবার চিন্ময় প্রভুকে ওষুধ দিতে গিয়ে ২ সন্ন্যাসী আটকের অভিযোগ
আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে আছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অভিযোগ উঠেছে তাঁকে ওষুধ দিতে গিয়ে এবার আটক হয়েছেন আরও দুই সন্ন্যাসী। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দুই সহকারী - আদি পুরুষ শ্যামল দাস এবং রঙ্গনাথ দাস ব্রহ্মচারী কারাগারে ওষুধ নিয়ে গিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জন্যে। অভিযোগে উঠেছে, সেই সময় দুই সন্ন্যাসীকে আটক করা হয়। কী কারণে তাঁদের আটক করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। এই দুই সন্ন্যাসীর নামে কোনও মামলাও ছিল না বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে । ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট জানিয়েছে, মোট ১৭ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আগামী ৩০ দিনের জন্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই সময়কালে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ এই ১৭ জন ব্যক্তি নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও লেনদেন করতে পারবেন না। ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ঘোষণা অনুযায়ী, চিন্ময় প্রভু ছাড়া আরও যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন - কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন–২০১২–এর ২৩(১)(গ) ধারায় এই সব ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ। পাশাপাশি এই ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলির চাওয়া হয়েছে। এর আগে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তাঁর গ্রেফতারের পর থেকে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন বর্তমানে 'বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের' ব্যানারে আন্দোলন করছে। সেই জোটের মুখপাত্র করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, চিন্ময় প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেয়নি পুলিশ । হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেছে।