কলেজছাত্রদের মধ্যে যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ সেবনের প্রবণতা বাড়ছে

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

যৌনশক্তি বাড়ানোর ওষুধ কলেজছাত্রদের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে চিন্তায় পড়ে গেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ‘হানি প্যাকেট’ নামে এক ধরনের যৌনশক্তিবর্ধক ওষুধ সেবনের প্রবণতা কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন বলছে। তারা বলছেন, হানি প্যাকেটস নামের এই ওষুধ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। এসব ওষুধ ব্যবহারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন বলা হয়, ‘হানি প্যাকেট’ ব্যবহারের প্রবণতা পুরুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেড়েছে। যৌন ক্ষমতা ও সঙ্গমের স্থায়িত্ব বাড়ানোর কথা বলে এটি বাজারজাত করা হয়। তবে ইউএসএ টুডের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পণ্যের ভেতরে প্রায়ই সিলডেনাফিল (ভায়াগ্রা) এবং টাডালাফিলের (সিয়ালিস) উপাদান যুক্ত থাকে। এটি শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহারযোগ্য। সম্প্রতি একটি টিকটক ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ‘হানি প্যাকেট’ নিয়ে মজা করছে এবং কেউ কেউ তা ব্যবহার করেছেন বলে জানান। ভিডিওটি প্রায় ৪ লাখ বার দেখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পণ্য ব্যবহারে উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলসের মেনস ক্লিনিকের পরিচালক ড. জেসি মিলস বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সহজেই এই পণ্য কিনতে পারছে, কিন্তু এর ভেতরে কী আছে তা কেউ জানে না।’ নর্থ ক্যারোলাইনা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. পিটার লিওন বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন। এসব পণ্যের ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে।’ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রবণতার পেছনে যৌন স্বাস্থ্য নয় বরং যৌন পারফরম্যান্স এবং প্রতিযোগিতার প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ কাজ করছে। ড. মিলস বলেন, ‘অধিকাংশ তরুণের আসলে যৌন অক্ষমতা থাকে না। কিন্তু পারফরম্যান্স নিয়ে সামাজিক চাপের কারণে তারা এই ধরনের পণ্য ব্যবহার করছেন।’ এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ পুরুষ ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের যৌন মিলনকে আদর্শ বলে মনে করেন। তবে বাস্তবে এই সময় পর্যন্ত যৌনক্ষমতা ধরে রাখতে না পারলে ‘হানি প্যাকেট’ ব্যবহার করে সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের পণ্য ব্যবহারের পরিবর্তে তরুণদের তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।