ইউক্রেনে আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি পুতিনের
নিজেদের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামলার জবাবে ইউক্রেনে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। গত দুই দিনে ইউক্রেনে ১০০টি ড্রোন ও ৯০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনারা। যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে ইউক্রেনের বেশ কিছু শহরে। যে কারণে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রার মধ্যে বিদ্যুৎহীন দিন কাটছে ইউক্রেনের ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাবেক সোভিয়েত দেশগুলির একটি নিরাপত্তা জোটের বৈঠকে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বর্তমান অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। ভাষণে পুতিন গত সপ্তাহে ইউক্রেনীয় শহর ডিনিপ্রোতে রাশিয়ার অরেশনিক মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেই সঙ্গে পুতিন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা (CSTO) শীর্ষ সম্মেলনে জানান, তার দেশ পরমাণু-সক্ষম অস্ত্রের ধারাবাহিক উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলার জন্য লক্ষ্য নির্বাচন করছে। এদিকে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাদের দেশের বিদ্যুতের অবকাঠামো বিশাল শত্রুর আক্রমণের শিকার হয়েছে। যা জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের অপারেটরকে হিমাঙ্কের তাপমাত্রার মধ্যেও জরুরি বিদ্যুৎ হ্রাস করতে বাধ্য করেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুচ্ছ অস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি অঞ্চলে, ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রসহ হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তারা বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি রাশিয়ান সন্ত্রাসী কৌশলের একটি অত্যন্ত ঘৃণ্য দিক। রুশ হামলা থেকে রক্ষা পেতে ইউক্রেনের আরও পশ্চিমা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন।’