কুষ্টিয়ায় কলেজ ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী, দেয়াল ভেঙে দিলেন স্থানীয়রা

২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:১১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয়ে আধাপাকা ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বলেন, কলেজ ভবন নির্মাণে নিম্নমানের ইট-খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। সিমেন্ট-বালুও পরিমাণ মতো দেওয়া হচ্ছে না। এসব অনিয়মের কারণে দুই সপ্তাহ আগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা। বুধবার আবার একইভাবে কাজ চলছিল। সেজন্য স্থানীয়রা দেয়াল ভেঙে দিয়ে চলে গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, কলেজের খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে বালু, সিমেন্ট লাগানো ভাঙা দেয়ালের ইটগুলো পড়ে আছে। কয়েকজন শ্রমিক যন্ত্রপাতি ধোয়ামোছার কাজ করছেন। মিস্ত্রি রাশিদুল বলেন, সকাল থেকে আমরা ভবনের দেয়াল নির্মাণের কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক এসে দেয়াল ভেঙে দিয়ে চলে যান। কাউকে চিনতে পারিনি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন শ্রমিক বলেন, এক, দুই, তিন নম্বরসহ সব ধরনের মালামালই আছে। এসব বিষয় ঠিকাদারই ভালো বলতে পারবেন। জানতে চাইলে চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ লাল মুহাম্মদ বলেন, ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা টিনশেডের একটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। তবে ইটের মান খারাপ হওয়ায় দুই সপ্তাহ আগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ কাজ চলছে কি না জানা নেই। দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিও তিনি জানেন না। বারবার ঠিকাদারকে বলেও কাজের মান ভালো হচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘মেরামত’ বরাদ্দের আওতায় চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয়ে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের ঠিকাদার কুষ্টিয়ার সিনথিয়া এন্টারপ্রাইজ। তবে কলেজে ভবন না থাকায় অধ্যক্ষের বিশেষ অনুরোধে ঠিকাদার মেরামতের বদলে নতুন আধাপাকা ঘর নির্মাণের কাজ করছেন। ঠিকাদার আহম্মেদ আলী বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নমানের ইট বাতিল করে আজ ভালো ইট দিয়ে কাজ চলছিল। তারপরও কে বা কারা নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করব। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জাফর আলী বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় একবার কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। আবারও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।