ইসকন নিষিদ্ধের দাবি
অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার বিচারসহ ‘উগ্র সংগঠন’ ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সমমনা ইসলামী দলগুলো। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবে সমমনা ইসলামী দলগুলো আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, ইসকনের বিরুদ্ধে বলা মানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে বলা নয়। হিন্দু ভাই-বোনদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে, যাতে ইসকনের পাতা ফাঁদে কেউ পা না দেয়। এর আগে ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ইসকন সমর্থকদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। এরপরই ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে যায় পুরো দেশ। গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। বিশেষ করে নেটদুনিয়ায় এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ নেটিজেনরাই বলছেন, তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন। ইসকন জাতির স্বার্থে কোনো সময় ভালো কাজ করে নাই। বরং তারা সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। যার দৃষ্টান্ত হলো আইনজীবী হত্যা। সামছুদ্দৌহা কৌশিক নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইসকনের একজন বহিষ্কৃত নেতা। একজন বহিষ্কৃত নেতার জন্য বিজেপির মায়া কান্না করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে যাচ্ছে। চিন্ময় দাস ও তার নেতাকর্মীরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ভারতের হয়ে কাজ করে মাতৃভূমির স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই এদের মধ্যে। এরা ভারতীয় ‘র’ এর এজেন্ট। তারা ভারতের প্ররোচনায় বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদেরকে নিষিদ্ধের জোড়ালো দাবি জানাই। নজরুল ইসলাম আপেল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ইসকন একটি আওয়ামী হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠন। অনতিবিলম্বে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।