‘ছাত্র-কৃষক কর্নারে’ আলু ৫০ টাকা কেজি
জয়পুরহাট ও কালাই উপজেলায় বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত ন্যায্যমূল্যের বাজার ‘ছাত্র-কৃষক কর্নারে’ ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও স্পেশাল টাস্কফোর্সের সহযোগিতায়- জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকালে জয়পুরহাট শহরের শহিদ ডাক্তার আবুল কাশেম ময়দানে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রয় কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলাম। এ সময় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল হক সানজিদ, মুবাশশির আলী, নিয়ামুর রহমান নিবির ও হোসাইন আহমেদ তানভীর উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে প্রতি কেজি আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায়- জয়পুরহাট শহরের এ ছাত্র-কৃষক কর্নারে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা কম মূল্যে বিক্রি হওয়ায় নিম্ন ও অল্প আয়ের মানুষ অনেক খুশি। এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কালাই উপজেলা প্রশাসন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ছাত্র কৃষক কর্নার ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ সামনে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। আলু বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায়, উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তানিম সরকার, মেফতাহুর রহমান মাহিরসহ অনেকে। ন্যায্যমূল্যের বাজারে একজন ক্রেতা ন্যায্যমূল্যে সর্বোচ্চ ৫ কেজি আলু ক্রয় করতে পারবেন। বাজারমূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে আলু কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। কালাই পৌরসভার এলাকার আলু ক্রয় করতে আসা শফিকুল, আশিক, নুশরাফ, রানাসহ অনেকে জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ৭০ টাকার কেজি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি করায় খুশি তারা। বাজারের থেকে কম দামে আলু বিক্রি করায় প্রশাসন এবং এর সাথে যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের ধন্যবাদ জানান। এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে বাজার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কালাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করা হয়েছে। এখানে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হবে।