এবার সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশের ডাক সাদপন্থিদের
এবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাবলিগ জামাতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। গতকাল শুক্রবার সাদপন্থি কাকরাইল মারকাজ (কেন্দ্র) মসজিদের ইমাম মুফতি মুহাম্মদ আযীমুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সম্প্রতি তাবলিগের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ করেন। এর পর থেকেই মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে গতকাল কাকরাইল মসজিদে বিশাল জামাতে জুমার নামাজ আদায় করলেন সাদ অনুসারীরা। হাজার হাজার মুসল্লি একত্রে কাকরাইল মসজিদে যান। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদপন্থিরা মসজিদে প্রবেশের সময় কিছুটা হট্টগোল হয়। তবে পরে কোনো সমস্যা হয়নি। এর আগে সকালে সাদপন্থিদের একটি বিশাল দল মসজিদে প্রবেশ করে। মসজিদে অবস্থান নেওয়ার উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মুসল্লি নগরীতে প্রবেশ করেন। এদিন সকালে রাজধানী ও এর আশপাশ থেকে মসজিদের দিকে যাত্রা শুরু করেন তারা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় বলে সংবাদিকদের জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা। তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষই সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে– কাকরাইল মসজিদে চার সপ্তাহ থাকবেন জুবায়েরপন্থিরা আর দুই সপ্তাহ থাকবেন সাদপন্থিরা। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম উপদেষ্টা মাওলানা জুবায়ের আহমদ সমর্থক ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে সিদ্ধান্ত হয়, তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের বিরোধের সমাধানে আগামী বছর এপ্রিলে পদক্ষেপ নেবে সরকার। সে পর্যন্ত দু’পক্ষই আগের নিয়মে কাকরাইল মসজিদে থাকবে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, কাকরাইল মসজিদ ও মারকাজ চার সপ্তাহ জুবায়েরপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পরের দুই সপ্তাহ থাকবে সাদপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে। সাদপন্থিদের দুই সপ্তাহ আজ শুরু হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ শুরু উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাদপন্থিরা ঢাকায় আসেন। তারা কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হয়ে একত্রে মসজিদের দিকে যান। তারা প্রবেশের সময় কিছুটা হট্টগোল হলে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, সবাই জুমার নামাজ আদায় করেছেন। কোনো ঝামেলা হয়নি।