ম্যাট গেইটজের মনোনয়ন ঘিরে সেনেট রিপাবলিকানরা বিভক্ত
দেশের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সদ্য সাবেক কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেইটজের মনোনয়ন কে ঘিরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রিপাবলিকান সেনেটররা। একদল মনে করছেন, গেইটজের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য বিবেচনা করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মোটেও ভালো কিছু করেননি। অন্যদিকে, আরেকদল মনে করছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে রাজনীতিমুক্ত করতে গেইটজের মতো ব্যক্তিকে বেছে নিয়ে সঠিক কাজটিই করেছেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট। রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন বলেছেন, বিভিন্ন পদে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যাদের মনোনয়ন দিচ্ছেন তাদের নিয়োগ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হবে। মনোনীতদের মধ্যে কারা নিয়োগ পাচ্ছেন প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই সেই বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি নিশ্চিত করেন, মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সেনেটররা নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে পিছপা হবেন না। আরেক সেনেটর লিন্ডসি গ্রাহাম বলেছেন, নির্বাচনের একটা পরিণতি থাকে। ট্রাম্প ম্যাট গেইটজকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সেনেট কমিটির সামনে তিনি নিজেকে কতটুকু যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন তা সময়ই বলে দেবে। সেনেটর থম টিলিস বলেছেন, তিনি ম্যাট গেইটজকে চেনেন না, তার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে গেইটজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদে জড়ানোর বিষয়ে কিছুটা জানেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেনেটর জশ হাউলি বলেছেন, কিছু কিছু বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন মনোনীত প্রত্যেকের অতীত ইতিহাস যাচাই করে দেখা হবে। তবে টেনেসির সেনেটর বিল হ্যাগার্টির রয়েছে ভিন্নমত। তিনি বলছেন, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে রাজনৈতিক থাবা থেকে মুক্ত করতে গেইটজকে বেছে নিয়ে সঠিক কাজটিই করেছেন। তিনি মনে করেন, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট সহ অন্য ডিপার্টমেন্টগুলোকে সঠিক পথে আনতে ট্রাম্পকে কাজ করতে দিতে হবে। এদিকে, ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাউয স্পিকার মাইক জনসন বলছেন, হাউয থেকে পদত্যাগ করে ম্যাট গেইটজ দলের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। কারণ, শূন্য আসন পূরণ করতে আট সপ্তাহ সময় পাওয়া যাবে এবং জানুয়ারির তিন তারিখের আগেই তা করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগ যত দ্রুত চূড়ান্ত করা যায় দেশের জন্য ততই ভালো।