ভারতের নামে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাকিস্তানের নালিশ

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ক্রিকেটের ২২ গজের লড়াই এখন আন্তর্জাতিক কূটনীতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে রীতিমতো দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। কোনো সমাধান দিতে পারছে না ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ভারতের নামে নালিশ করেছে পাকিস্তান। পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানের মাটিতে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। যেখানে অংশগ্রহণ করার কথা ভারতের। তবে টুর্নামেন্টের যখন ১০০ দিনও বাকি নেই তখন ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানে যাবে না তারা। তাদের চাওয়া নিজেদের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে দুবাইয়ে খেলার। যা আবার মানতে নারাজ পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো নিজেদের মাটিতে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর দেশটি। এই অবস্থায় দু’দেশের দ্বন্দ্বের কোনো যৌক্তিক সমাধান দিতে পারছে না আইসিসি। টুর্নামেন্টের সূচিও এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি সংস্থাটি। যে কারণে এই আসর এখন মাঠে গড়ানো নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। আর এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ভারতের অবস্থান তুলে ধরে দেশটির নামে নালিশ দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, ২০০৮ সালের পর ভারত রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে পাকিস্তানে দল পাঠায় না। সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, যেটা বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা। ভারত এই টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই অবস্থায় তার প্রশ্ন, ‘রাজনীতির সঙ্গে খেলাধুলা মেশানো কি ঠিক হচ্ছে, আপনারা কী মনে করেন?’ পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘খেলাধুলা অবশ্যই একটি শক্তিশালী এবং সংযোগকারী শক্তি। এই দপ্তর সত্যিকার অর্থে ক্রীড়া কূটনীতির ভূমিকাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা মানুষকে সংযুক্ত করতে পারে। এটি এমন কিছু যা, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জন্য অবিশ্বাস্য রকমের গুরুত্বপূর্ণ।’ প্যাটেল অবশ্য সমাধান দিতে পারেননি। বরং দুই দেশকেই সমঝোতার মধ্যে আসতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারত–পাকিস্তানই নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মধ্যে কথা বলুক। আমরা এর মাঝে প্রবেশ না করি।’