চড়া মূল্যস্ফীতির চাপে নাকাল ভোক্তা

৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

টানা পৌনে তিন বছর ধরে সাধারণ ভোক্তারা চড়া মূল্যস্ফীতির যন্ত্রণায় ভুগছেন। দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতি নামের চড়া কর দিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোক্তারা। এর জন্য প্রধানত দায়ী ছিল বিগত সরকারের ভুল নীতি, লুটপাট, টাকা পাচার, ছাপানো টাকায় দেশ পরিচালনা অন্যতম। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে ভোক্তারা আশায় বুক বেঁধেছিল, এবার দুর্নীতি কমবে, টাকা পাচার বন্ধ হবে, পণ্যমূল্য কমবে। কমে আসবে মূল্যস্ফীতির বেপরোয়া চোখ রাঙানি। নতুন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হলো আজ। এর মধ্যে পণ্যমূল্য কমেনি। উলটো আরও বেড়েছে। ব্যবস্থাগত কারণে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। কিন্তু এখনো ডাবল ডিজিটের খুব কাছাকাছি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে মুদ্রানীতি সংকোচনমুখী করা ছাড়া অন্য কোনো শক্তিশালী পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না। এতে ভোক্তার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যকার বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে শিগগিরই সহসা কমে আসবে পণ্যমূল্য। একই সঙ্গে কমবে মূল্যস্ফীতির হারও। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভোক্তার মজুরি বৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে বেশি। ওই সময়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং মজুরি বেড়েছিল ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ। মজুরির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল দশমিক ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ভোক্তার আয়ের চেয়ে খরচ বেশি ছিল। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। তবে আয় ও ব্যয়ের মধ্যকার ব্যবধান আরও বেড়েছে। ২০২২ সালের আগস্টে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে সাড়ে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ওই মাসে আয় বেড়েছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। আয়ের চেয়ে খরচ বেশি ছিল ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। দীর্ঘ সময় ধরে চলা আয়-ব্যয়ের মধ্যকার ভারসাম্যহীনতার কারণে জীবিকা নির্বাহ করতে ভোক্তারা যেমন সঞ্চয় ভেঙেছে, তেমনি ঋণগ্রস্ত হয়েছে। জীবনযাত্রার মান কমিয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার স্বাধীনভাবে নিরূপণ করেছে বিবিএস। যে কারণে ওই মাসে এ হার আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছে। আয় বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ওই সময়ে আয়-ব্যয়ের মধ্যকার ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড। অভিযোগ রয়েছে, আগে সরকার মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে ও মজুরির হার বাড়িয়ে দেখাত। এখন সেটি হচ্ছে না বলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আলমে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে-পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাড়িয়ে বেপরোয়া ঋণ গ্রহণ, টাকা পাচারের ঘটনাকে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপানো একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে টাকা না ছাড়িয়ে আগের নেওয়া ছাপানো টাকার ঋণ পরিশোধ করে বাজারে ছাপানো টাকার প্রভাব কমতে শুরু করেছে। দেশ থেকে টাকা পাচার বহুলাংশে রোধ হয়েছে। ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম পড়ে বেশ কিছুটা কমে এখন স্থিতিশীল হয়েছে। এসব ব্যবস্থাপনাগত কারণে মূল্যস্ফীতিতে চাপ কিছুটা কমেছে। যে কারণে গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে এ হার কিছুটা কমেছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ওই সময়ে মূল্যস্ফীতি কমার পাশাপাশি মজুরি কিছুটা বেড়েছে। এতে ভোক্তার আয় ও ব্যয়ের মধ্যকার ঘাটতি কিছুটা কমেছে। কিন্তু পণ্যমূল্য কমছে না। উলটো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। গত সরকারের একাধিক মন্ত্রী সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিল। যে কারণে তারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ সরকারের কেউ সিন্ডিকেটের সঙ্গে নেই। তারপরও পণ্যমূল কমছে না। তবে চাঁদাবাজি কমেনি। বরং বেড়েছে। সরকার বদলের পর চাঁদাবাজিও হাতবদল হয়েছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার এখনো কোনো শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এছাড়া পণ্যের সরবরাহও স্বাভাবিক হয়নি। যে কারণে পণ্যের দাম কমছে না। পণ্যের দাম না কমার কারণে মূল্যস্ফীতির হারও বেশি হ্রাস পাচ্ছে না। ফলে ভোক্তার ভোগান্তি আগের মতোই রয়ে গেছে। পণ্যমূল্য না কমার কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আগে যারা নিত্যপণ্যের বড় ব্যবসায়ী ছিলেন তাদের বড় অংশই ছিল আওয়ামী লীগের দলীয় লোক। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের বেশির ভাগই এখন পলাতক রয়েছেন। ফলে তারা এখন ব্যবসা করতে পারছেন না। এতে পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। একই কারণে এলসি খোলা কমেছে। ফলে উৎপাদন কমেছে। এতে দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। তারা এখন পলাতক। ফলে অর্থনীতিতে ওইসব টাকার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাচ্ছে। এসব কারণে বাজারে টাকার চলাচল কমে যাওয়ায় পণ্যের সরবরাহ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি দাম বাড়ছে। এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, সরকার পতনের পর টাকা পাচারকারী ও দুর্নীতিবাজরা পালিয়েছে। তারাই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। এ কারণে পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে। এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য সরকারকে বিশ্বাসযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। ব্যবসা পরিবেশ দিতে হবে। আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে বিনিয়োগ বাড়বে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সরকার যত দ্রুত এগুলো নিশ্চিত করতে পারবে তত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমার কারণ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। এতে মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতির হার কমাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে চাল, সয়াবিন তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ডলারের দাম কমানো ও এলসি মার্জিন তুলে নেওয়া হয়েছে। এতে আমদানির খরচ কমলেও বাজারে দাম কমছে না। সরকারের দেওয়া এসব সুবিধা চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে। সরকার থেকে এ ক্ষেত্রে কঠোর তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রশাসন এখনো অগোছাল। যে কারণে তদারকির মাত্রাও কম। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার পতনের পর নতুন সরকারের কাছে ভোক্তার প্রথম চাওয়া পণ্যের দাম কমাবে। সরকার সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়াতে একাধিক পণ্যের শুল্ক ছাড় দিয়েছে। তদারকিও জোরদার করা হয়েছে। বাজারে প্রশাসনের নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। তারপরও যেন কিছু পণ্য নিয়ে অসাধুরা কারসাজি করেছে। কিছুদিন আগে ডিমের দাম বাড়লেও এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এরপরও কিছু পণ্যের দাম এখনো বাড়তি। সেদিকে সরকারের নজর বাড়াতে হবে। পণ্যের দাম কমিয়ে ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে হবে। দরকার হলে অসাধুদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের আগে প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৮ টাকা। গত ৩ নভেম্বর বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকায়। কেজিতে দাম বেড়েছে ২ টাকা। পাশাপাশি প্রতিকেজি পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা। প্রতিকেজি মোটা চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫৪ টাকা। যা এখন ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে দাম বেড়েছে ১ টাকা। প্রতিকেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা। যা এখন ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে ভারত। দেশটি ইতোমধ্যে চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। রপ্তানিতে বাড়তি করও প্রত্যাহার করেছে। এ খবর প্রচারিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমছে। তবে বাংলাদেশ চাল আমদানি করে কম, দেশে উৎপাদিত চাল দিয়ে বেশির ভাগ চাহিদা মেটানো হয়। এ কারণে চালের দাম আগামীতে কিছুটা কমতে পারে। গমের দামও কমছে আন্তর্জাতিক বাজারে। সরকার পতনের একদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫৫ টাকা। রোববার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকা। যা এখন ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লিটারে ৩ টাকা। প্রতিলিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। যা এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লিটারে বেড়েছে ১৫ টাকা। প্রতি লিটার পাম অয়েল সুপার বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। এখন ক্রেতাকে ১৫৪ টাকায় কিনতে হচ্ছে। দাম বেড়েছে ১৪ টাকা। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেশ খানিকটা কমেছে, পাম অয়েলের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু বাজারে পাম অয়েলের দাম বাড়লেও সয়াবিনের দাম না কমে বরং আরও বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৫ টাকা। যা এখন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা। আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৮০-২২০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৩০ টাকায়। দেশি হলুদ বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা। এখন দাম কমে ৩২০-৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা হলুদ বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকায়। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩৫ টাকা। এখন ১৩০-১৩৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা। এখন ১৯০-২১০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা। যা দাম কমে এখন ৫০ টাকা হয়েছে। তবে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। তখন প্রতিকেজি ৭৫০-৭৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি পটোল ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি ছিল ১৫০ টাকা। এখন ১৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকা কেজি লম্বা বেগুন এখন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। যা সরকার পতনের আগের দিনও সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে আসন্ন শীত মৌসুমে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ বাড়বে। কারণ তখন কৃষি উৎপাদন ভালো হয়। পাশাপাশি পরিবেশ অনুকূল থাকায় শিল্প উৎপাদনও বাড়বে। এতে পণ্যের দাম কমবে। ফলে মূল্যস্ফীতির হারও আগামীতে কিছুটা কমে আসবে-এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।