হিন্দুজোট ইসকনের সীমাছাড়া ঔদ্ধত্য
চট্টগ্রামে সীমাছাড়া ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছে হিন্দুজোট ইসকনের সমর্থকেরা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর যৌথ বাহিনীর ওপর এসিডসহ ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের হামলায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য ও পুলিশের নয় সদস্যসহ মোট ১৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এসিডে ঝলসে যাওয়া সেনা সদস্যদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী গলিতে ইসকনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে চট্টগ্রামে একের পর এক ইস্যু সৃষ্টি করে মাঠে নেমে নৈরাজ্যের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ইসকন ও তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মী সমর্থকেরা। সর্বশেষ তারা ‘জয় শ্রীরাম সেøাগানে’ যৌথবাহিনীর ওপর ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে। দেশপ্রেমিক ও আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষের লোকজন বলছেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী সেনা সদস্যদের ওপর এসিড হামলার মতো জঘন্য অপকর্মের দুঃসাহস দেখিয়েছে ইসকন সমর্থকেরা। এর নেপথ্যে কারা তাদের খুঁজে বের করা এ মুহূর্তে খুবই জরুরি। যেখানে খোদ সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ নানা শ্রেণি পেশার পক্ষ থেকে উগ্রবাদী বিদেশি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি উঠছে সেখানে এদেশের চিহ্নিত কিছু রাজনৈতিক দল দৃশ্যত তাদের পক্ষ অবলম্বন করছে। হাসিনার পতনের পর ইসকন ও তার সহযোগীরা যেসব অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে সেসব দাবির প্রতিও কোনো কোনো মহল সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর হাটহাজারীর পুন্ডরীক ধামে রাধাষ্টমীর দ্বিতীয় অধিবেশনে ইসকন নেতাদের পাশে বসিয়ে মঞ্চে দেয়া বক্তৃতায় হিন্দুদের জন্য জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক আসন বরাদ্দ থাকা উচিত বলে মত দেন। তিনি বলেন, জামায়েত ইসলামি ১৯৫৪ সালে নির্বাচন ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও এই দাবি তুলেছিল। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রতিবেশী ভারতে প্রায় ২৫ কোটির মতো মুসলমান। অথচ সেখানে মুসলমানদের জন্য সংখ্যানুপাতিক আসন বরাদ্দের কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে এ ধরনের দাবি তোলা হচ্ছে। মূলত এ কারণেই ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী আসকারা পেয়ে একের পর এক নানা আবদারে মাঠে নেমে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। সম্প্রতি এ গোষ্ঠীটি নগরীর নিউমার্কেট গোলচত্বরের স্বাধীনতা মঞ্চে ছাত্র-জনতা কর্তৃক উত্তোলিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার উপর গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে রাষ্ট্রবিরোধী অপকর্মে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও হয়েছে। এরপরও এ গোষ্ঠী তাদের উগ্রবাদী আচরণ থেকে বিরত হচ্ছে না। হাজারী গলিতে তারা আরো একটি দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা নস্যাৎ করে দিয়েছে। যৌথবাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাজারী গলি এলাকার মো. ওসমান নামের এক দোকানদার কয়েকদিন আগে তার ফেসবুকে ইসকনের নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এটি জানাজানি হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোকজন ওইদিন সন্ধ্যায় তার দোকানে গিয়ে হামলা চালায়। টেরিবাজার, বক্সিরহাট, মেথর কলোনীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসকনের নেতৃত্বে হিন্দুরা জড়ো হয়ে সেখানে বিক্ষোভ করে। ওসমান ও তার ভাইকে দোকানশুদ্ধ পুড়িয়ে মারার আয়োজন করে উগ্রবাদীরা। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান এবং দ্রুত ওসমান ও তার ভাইকে আটক করেন। তারা ভুলবশত এ ধরনের পোস্ট শেয়ার করেছেন বলে স্বীকার করেন এবং মুচলেকা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এরপরও উগ্রবাদী ইসকন ও তাদের সমর্থকরা শান্ত না হয়ে ওই দুই ভাইকে তাদের হেফাজতে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। যৌথবাহিনীর সদস্যরা তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পথে চারিদিক থেকে তাদের ওপর হামলা শুরু হয়। ইট-পাটকেল, ভাঙা কাচ এবং হাজারী গলির বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে থাকা এসিড নিয়ে তাদের ওপর ছুঁড়ে মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথবাহিনী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৮০ জনকে আটক করা হয়। যৌথবাহিনীর ব্রিফিং : হাজারি গলিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ওপর ভয়ঙ্কর এসিড হামলা, ভাঙচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ঘটনায় যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেসব্রিফিং করা হয়। নগরীর দামপাড়ায় সেনাবহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের এ ব্রিফিংয়ে যৌথবাহিনীর ট্রাস্কফোর্স-৪ এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ওসমান আলী নামে এক ব্যক্তির ইসকন বিরোধী পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং আনুমানিক ৫০০-৬০০জন দুস্কৃতিকারী ওসমান আলী ও তার ভাইকে হত্যা এবং দোকান জ্বালিয়ে দেয়ার উদ্দেশে জড়ো হয়। স্থানীয় কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিজিবিসহ ছয়টি টহল দল ওই এলাকায় যায়। বিশৃঙ্খলাকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় জানমাল রক্ষা ও মব জাস্টিস রোধে ওসমান ও তার ভাইকে উক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষটি সমাধানের আশ^াস দেয়ার পরও উগ্র বিশৃঙ্খলাকারী আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। দুর্বৃত্তরা এ সময় যৌথবাহিনীর ওপর অতকির্তকভাবে জুয়েলারীর কাজে ব্যবহৃত এসিড হামলা চালায় এবং ভারী ইট-পাটকেলসহ ভাঙা কাচের বোতল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে সেনাবাহিনীর পাঁচজন এবং সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা ইট ছুঁড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের উইন্সশীল্ড ভেঙে ফেলে। দুই ভাইকে উদ্ধার অভিযানের পর দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে যৌথবাহিনীর ১০টি টহল দল রাত সাড়ে ৯টায় হাজারী লেইন এলাকায় গেলে অলিগলিতে লুকিয় থাকা দুষ্কৃতিকারীরা পুনরায় যৌথবাহিনীর ওপর এসিড সদৃশ বস্তু ছুঁড়তে থাকে। এ সময় যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮০জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে সমর্থ হয়। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে প্রকৃত দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। পুরো ঘটনায় ইসকন জড়িত : সিএমপি হাজারী লেইনে ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা-এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় উগ্রবাদী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ- ইসকন’ জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মুখপাত্র উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনের তথ্যমতে, হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরা হলেন- নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার মাহফুজুর রহমান এবং পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম, বিপ্লব বেপারি, আবু সায়েম সেজান, সাইদ হাসান, ফয়েজ, নাইম, আশিকুর ও শাহজাহান হোসেন শাওন। এরমধ্যে ফয়েজ এসিডদগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উপ পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তারা জয় শ্রীরাম বলে সেøাগান দিয়েছে। আর তদন্ত ও গোয়েন্দা তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছি, এ ঘটনায় ইসকন সমর্থকরাই জড়িত। ইসকনকে নিয়ে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ওসমান আলী নামে এক ব্যক্তিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে- এমন তথ্য ৯৯৯-এ পেয়ে পুলিশ রেসপন্স করে। তারা সেখানে গেলে অবরুদ্ধ ওসমানকে উশৃঙ্খল জনতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং সেনাসদস্যরাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়। ছিনিয়ে নেওয়ায় বাধা দেওয়ায় উশৃঙ্খল জনতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ইট-পাটকেল ও এসিড নিক্ষেপ শুরু করে। এতে আমাদের ৯ জন সদস্য আহত হয়, যার মধ্যে একজন এসিডদগ্ধ হয়েছেন। হামলার ঘটনায় ৮২ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যেহেতু বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। তবে যাচাই বাছাই করে আমরা ৮২ জনকে রেখেছি। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইসকন সমর্থক। কয়েকজন মুসলিম থাকতে পারে। এটিও যাচাই-বাছাই চলছে। হাজারী লেইনে ওষুধের পাইকারি দোকান সিলগালা করায় রোগীরা ভোগান্তিতে পড়বে কি না জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা আমাদের নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে, যেন সেখানে কোনো নাশকতা বা লুটতরাজ না হয় এজন্য কয়েকটি দোকান জেলা প্রশাসন সীলগালা করে সাময়িক বন্ধ করেছে। কিন্তু সব দোকান বন্ধ করা হয়নি। হামলাকারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে রইছ উদ্দিন বলেন, কোনো রাজনৈতিক মদদ রয়েছে কি না সেটা তদন্ত করা হচ্ছে। আটক করা হয়েছে যাদের, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শান্ত নগরীকে যারা বিশৃঙ্খল করতে চায়, তাদের বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছেন কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মিজানুর রহমান। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইসকন নিষিদ্ধের দাবি : জয় শ্রীরাম সেøাগান দিয়ে যৌথবাহিনীর ওপর হামলার প্রতিবাদ ও উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। গতকাল বিকেলে নগরীর জামালখান প্রেসক্লাব চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় তাবেদার শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ইসকন ও তাদের সহযোগী উগ্রবাদী কিছু সংগঠন সারাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে নৈরাজ্য ও দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারা সরকারকে অস্থিতিশীল করে ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে পুনর্বহাল করার জাতিঘাতী এক চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে হাজারী গলিতে এ উগ্রবাদী গোষ্ঠী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর ভয়ঙ্কর এসিড হামলা চালিয়েছে। একইসাথে তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পকাহিনী ভারতীয় মিডিয়ায় সরবরাহ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রবিরোধী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। গেরুয়া সন্ত্রাস চলবে না : বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার মুফতি হারুন ইজহার ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ভারতে মুসলমানদের বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ ভাঙচুর করেÑ আজ এদেশে ওরা মুসলমানদের দোকান ভাঙলো। ওই ব্যবসায়ীর অপরাধ? পোস্ট দিয়েছিল ইসকন নিষিদ্ধ করা হোক। দাবি জানাচ্ছি এ ভারতের দালাল ইসকনকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। না হয় তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে উঠবে। এটা ভারত না, এখানে গেরুয়া সন্ত্রাস চলবে না।’