ট্রাম্প জিতলে পুতিনের কী লাভ?
আগামী ৫ নভেম্বর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে মার্কিনীরা। তবে নির্বাচনটি গোটা বিশ্বের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা আগামী দিনে ইউরোপ এবং এর বাইরেও ক্ষমতার ভারসাম্যকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে। এই অবস্থায় মার্কিন নির্বাচনে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে রাশিয়া। কেননা, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে রাশিয়ার জন্য এক রকম পরিস্থিতি হবে; অন্যদিকে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ভিন্ন রকম পরিস্থিতির মধ্যে দিতে যেতে হবে রাশিয়াকে। এই লাভ ক্ষতির অংক কষে মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। তাছাড়া বরাবরই মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব রাখার অভিযোগ শোনা যায় মস্কোর বিরুদ্ধে। ২০১৬ ও ২০২০ সালেও মার্কিন নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। এবারও তেমনটিই হওয়ার কথা। তাছাড়া এরইমধ্যে মস্কোর দিকে আঙুল তোলা শুরু হয়ে গেছে। এই যেমন সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব ফেলার অভিযোগ উঠেছে মস্কোর বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে হাইতিয়ানদের হ্যারিসের পক্ষে ভোট দিতে। যাকে মিথ্যা দাবি করেছেন জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেট। আর এর জন্য তিনি রাশিয়ান ট্রল ফার্মকে দায়ী করেছেন, জনমতকে প্রভাবিত করতে এবং নির্বাচনি ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য মস্কোর চলমান প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছেন তিনি। মার্কিনীদের এমন ধারণার কারণ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করছেন। কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলেও সেই সহায়তা বজায় থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে ন্যাটো। যা রাশিয়ার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধে জয় লাভ করা। অন্যদিকে রাশিয়ার অনেকেই ট্রাম্পের জয়কে ইউক্রেনে শান্তির একটি সম্ভাব্য পথ হিসাবে দেখেন। তাদের বিশ্বাস, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে কিয়েভে মার্কিন আর্থিক সহায়তা হ্রাস পাবে। তাছাড়া ট্রাম্প বিভিন্ন সময় এই যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে রাতারাতি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। তার এমন ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় রাশিয়া। আর সেই চাওয়া থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাভের অংক কষে প্রভাব ফেলতে পারে মস্কো।