টুকু, তার ছেলে ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

৩১ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু, তার ছেলে বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন এবং টুকুর ভাই সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) পাবনার বেড়ায় দখল, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে পাবনা আমলি আদালত-১ এ এ মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী বেড়া পৌর সদরের বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী এবং বেড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাবনা আমলি আদালত-১ এর বিচারক মোরশেদুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া মডেল থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ৬ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসানের কাছে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা মেহেদি হাসানের পৈত্রিক জমিতে থাকা ২০টি দোকান ও ৫০টি গোডাউন জবর দখল করে নেন। সেইসঙ্গে ওই সব দোকান গোডাউনের ভাড়া না তুলতে বাদীকে হত্যার হুমকি দেন তারা। ২০১৪ সাল থেকে বিগত ১০ বছর ধরে অভিযুক্তরা হুমকি ধামকি দিয়ে ভাড়ার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে তারা কোনো অভিযোগ এমনকি জিডি পর্যন্ত নেয়নি। এতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের গত ১০ বছরে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী মির্জা মেহেদী হাসান বলেন, গত ২০১৪ সাল থেকে মামলা করতে বা জিডি করতে অনেকবার বেড়া মডেল থানায় গেলেও পুলিশ তাদের ক্ষমতার প্রভাবে কখনও আমাদের কোনো অভিযোগ বা মামলা নেয়নি। দেশের পট পরিবর্তনের পর টুকু, তার ভাই বাতেন ও ছেলে রঞ্জন পলাতক থাকলেও তাদের অন্য সহযোগীরা এখনও দখল বাণিজ্য করে চলেছে। থানার ওসি, ইউএনও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সবার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমার জমি ও সম্পদ দখলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাবো।