ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় উদ্বিগ্ন রাশিয়া, শান্ত থাকার আহ্বান
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে দেশটির রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি শহরে সামরিক স্থাপনায় এ হামলা হয়। এতে ইরানের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর উত্তেজনার বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছেন। জাখারোভা বলেন, আমরা জড়িত সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা বন্ধ এবং একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, ইরানকে প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়া বন্ধ করা এবং অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনার সর্পিল পথ থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব। ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ইরানে ইসরায়েলের হামলার সবশেষ খবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেকে জানানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে রাজধানী তেহরানের কাছে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা। জানা গেছে, আগেই ইরানকে হামলার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল। এ কারণে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বাহিনী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত তিনটি সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওস নিউজ জানিয়েছে, তৃতীয় একটি দেশের মাধ্যমে ইরানকে হামলার বিষয়ে অবগত করেছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে রাখে তেহরান। ফলে, ইসরায়েলি হামলাগুলোকে আকাশেই ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয় খামেনির দেশ।