বেড়ানোর কথা বলে পাহাড়ে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী ও তার দুই বন্ধু
চট্টগ্রামে টিকটকার স্ত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে আনোয়ারায় বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যান স্বামী। রাতে খাওয়া-দাওয়া করেন একসঙ্গে। পরে পাহাড়ে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ির বাইরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে স্বামী ও তার দুই বন্ধু। লোমহর্ষক এ হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও বাঘাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন-নগরীর ডবলমুরিং হাজী পাড়া এলাকার মোহাম্মদ সোলতান আহমেদের ছেলে জাহেদ নাভেদ ও আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইরফান হোসেন। এর মধ্যে ইরফান রাঙামাটি জেলায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ২১ অক্টোবরের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পিবিআই সূত্র জানায়, ৩ অক্টোবর আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের চায়না ইকোনমিক জোন কার্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা থেকে গৃহবধূ আমেনার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পিবিআই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ইরফান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাহেদ নাভেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পিবিআইর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, খুন হওয়া আমেনার স্বামী ইয়াসির আরাফাত ১ অক্টোবর রাতে আমেনাসহ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্ধু ইরফানের বাড়িতে বেড়াতে যান। নাভেদ আগে থেকে সেখানে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ইরফান তাদের আনোয়ারার একটি পাহাড়ে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর আমেনা ও ইয়াসিরের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ইরফান আমেনাকে ছুরিকাঘাত করেন। কিছুক্ষণ পর আমেনার মৃত্যু হলে তিনজন মিলে লাশ একটি নালার মধ্যে ফেলে দেন। তবে পিবিআই আমেনার স্বামী ইয়াসির আরাফাতকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন জানান, আমেনা হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, নিহতের স্বামী ঘটনার পর বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতার দুজন ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।