ইরানের রাজধানীতে সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে
ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে অন্তত সাতটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে। তেহরানে বিস্ফোরণের খবরের পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাতে তেহরান ঘিরে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে কীভাবে এসব বিস্ফোরণ হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি ইরান। শুক্রবার রাতেই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলে কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার জবাবে, এই মুহূর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা বাহিনী।’ ইরানে ইসরায়েল হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব। যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতির পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ ১২ জানিয়েছে, ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের শিরাজ শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। তেলআবিবে চালানো এই হামলায় ইসরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ও বিমানবন্দরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই হামলার বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইরানি মিসাইল আছড়ে পড়ছে তেল আবিবের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। ইরানের এই হামলার পর পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছিলেন। এরপর থেকেই ইসরায়েলের অন্যান্য কর্মকর্তারাও বলে আসছেন তারা তেহরানে হামলা চালাবেন।