কিমের সেনাদের হাতে মরছে জেলেনস্কির সেনারা!
পশ্চিমা বিশ্বকে যুদ্ধের হুমকি দিতে দিতেই এবার যুদ্ধে জড়িয়ে গেল উত্তর কোরিয়া। বেশ কিছুদিন ধরেই কিম জং উনের সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তারা পুতিন বাহিনীর হয়ে জেলেনস্কি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। যদিও এ ধরনের কোনো কিছুই ঘটেনি বলে জানিয়েছে মস্কো। তবে ইউক্রেনের গোয়েন্দারা বলছে, এমন অভিযোগ এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সেনাদের হাতেই নাকি প্রাণ হারাচ্ছে জেলেনস্কি বাহিনী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ায় যাওয়া প্রথম ব্যাচের সেনাদের প্রশিক্ষণ শেষে কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। গেল কয়েক মাস ধরেই রুশ এই অঞ্চলটিতে যুদ্ধ করে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রশিক্ষণ শেষ করে উত্তর কোরিয়ার প্রথম সামরিক ইউনিটটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নেমে পড়েছে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ২৩ অক্টোবর থেকে তারা কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ইউক্রেন জানায়, প্রায় ১২ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা এরই মধ্যে রাশিয়ায় অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ৫০০ কর্মকর্তা ও তিনজন জেনারেল রয়েছেন। এরা রাশিয়ার ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। কিয়েভ আরও বলছে, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি দেখাশোনা করছেন রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউনুস-বেক ইয়েভকুরভ। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র জানায় তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৩ হাজার সেনা রাশিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে। একই দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারাও। ইউক্রেন ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর এমন দাবি অবশ্য অস্বীকার করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানান, মস্কো কীভাবে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে তাদের প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে এ ধরনের বিষয়গুলো দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এ সময় স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবিতে রুশ ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের গতিবিধি ধরা পড়ার কথা উল্লেখ করা হলে পুতিন জানান, ছবি একটি গুরুতর বিষয়। যদি ছবি থাকে, তাহলে কিছু না কিছু ঘটেছে। পশ্চিমাদের এমন অভিযোগের উত্তরে পাল্টা ন্যাটো সেনাদের ইউক্রেনে মোতায়েনের অভিযোগ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিন বলেন, ন্যাটো কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকরা ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং পশ্চিমারা ইউক্রেন সংকটকে বাড়িয়ে দিয়েছে। পুতিন জানান, মস্কো জানে সেখানে কোন কোন ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশের সামরিক সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে এবং তারা কীভাবে কাজ করছে।