কাল বাফুফের বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন, প্রার্থী আ. লীগ নেতাও
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন কাল। দীর্ঘ ১৬ বছরের কাজী সালাউদ্দিন যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ১৩৩ জন কাউন্সিলর ২০ পদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সিনিয়র সহসভাপতি পদে তরফদার রহুল আমিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ইমরুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আগেই। বাকি তিনটি পদে (সভাপতি একটি, সহসভাপতি চারটি ও ১৫টি সদস্য) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। বাফুফে সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন সাবেক সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল ও দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরী। সহসভাপতি পদ চারটি। এই পদে প্রার্থীর সংখ্যা ছয়জন। যার একজন সাবেক তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির। ২০১৬ সালের পর ফের সহসভাপতি প্রার্থী হয়েছেন তিনি। সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকও এই পদে আরেকজন প্রার্থী। দুই ফুটবলার বাদে বাকি চার সহসভাপতি প্রার্থীর ফুটবলাঙ্গনে সেভাবে পরিচিতিও নেই। সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের ওপর মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপক চাপ ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি নির্বাচনে একেবারে অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত এই পদে ভোটাভুটি হচ্ছে। বাফুফে নির্বাচনের কাউন্সিলরদের অধিকাংশ দলীয়। আবার কেউ কিছু সুবিধার বিনিময়ে নিজের বিবেক-বুদ্ধি বিক্রি করেন এমন অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া সহসভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (হ্যাপি) সহসভাপতি পদে বেশ ফেভারিট প্রার্থী। ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ আরেফ তিনিও সহসভাপতি প্রার্থী। তিনি ব্রাদার্সের সঙ্গে আছেন। পট পরিবর্তনের পর ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিবের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন বাফুফে সহসভাপতি প্রার্থীও হয়েছেন। ফলে সাব্বির আরেফও সহসভাপতি পদে হেভিওয়েট প্রার্থী। সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্পোর্টস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি কে-স্পোর্টসের কর্ণধার ফাহাদ করিম। সহসভাপতি পদে আরেক প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জামান জাহেদী। তারও ফুটবলের শীর্ষ স্তরে তেমন পরিচিতি নেই। যশোরে শামসুল হুদা একাডেমির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে তার একটা পরিচিতি রয়েছে। সদ্য বিলুপ্ত সংসদে ঝিনাইদহ-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের পদেও ছিলেন তিনি। এদিকে ১৫টি সদস্য পদের জন্য লড়বেন ৪০ জন প্রার্থী। এরা হলেন-আ ন ম আমিনুল হক মামুন, আমীরুল ইসলাম (বাবু), ইমতিয়াজ হামিদ (সবুজ), একেএম নুরুজ্জামান, এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল, কামরুল হাসান হিলটন, খন্দকার রকিবুল ইসলাম, জসিমউদ্দিন খান খসরু, জাকির হোসেন চৌধুরী, টিপু সুলতান, তাসমিয়া রেজোয়ানা, দেলোয়ার হোসেন, বিজন বড়ুয়া, মহিদুর রহমান মিরাজ, মানস চন্দ্র দাস (ধলু), মাহফুজা আক্তার (কিরন), মাহমুদা খাতুন, মো. আবদুল হাফিজ, মো. আমের খান, মো. ইকবাল হাসান (জনি), মো. ইকবাল হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী, মো. ইখলাছ উদ্দীন, মো. গোলাম গাউছ, মো. ছাইদ হাছান কানন, মো. মঞ্জুরুল করিম, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. মাহি উদ্দিন আহমদ (সেলিম), মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. শাহাদাত হোসেন, মো. শাহীন হাসান, মো. সফিকুল আজম ভূঁইয়া, মো. সাইফুর রহমান মনি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রওশন আক্তার হায়দার (ডেইজী জাফর), শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, সত্যজিৎ দাশ রুপু, সাখাওয়াত হোসেন ভূঞা ও সৈয়দ মুহম্মদ শহীদুল ইসলাম।