ইসরাইলকে রক্ষায় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র: এরদোগান
যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সম্প্রতি রাজধানী আঙ্কারায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে শুক্রবার এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলন থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এরদোগান বলেন, এটি এখন একটি সুস্পষ্ট সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ ও ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য এই অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গাজা এবং লেবাননে ইসরাইলের বর্বর আক্রমণ শতাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, এই পরিস্থিতির জবাবে তুরস্ক জাতিসংঘের অধীনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে, এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তুরস্কের আহ্বানে সমর্থনকারী দেশের সংখ্যা বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মানবতার ঐক্য হিসেবে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারব এবং স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করতে পারব’। এদিকে সম্প্রতি আঙ্কারায় তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (টিএআই) সদর দপ্তরে পিকেকের হামলায় পাঁচজন নিহত ও ২২ জন আহত হন। এ ঘটনার পর তুরস্কের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা উত্তর ইরাক ও সিরিয়ায় পিকেকে ও ওয়াইপিজির বিভিন্ন অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে এরদোগান বলেন, আমাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করব না। পিকেকের সিরিয়ান শাখা পিডিও বা ওয়াইপিজির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানিয়ে এরদোগান বলেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়ার অস্থিতিশীলতাকে কাজে লাগাচ্ছে এবং কিছু পশ্চিমা দেশের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছে। তবে এরা শিগগিরই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত পিকেকে প্রায় ৪০ বছরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ৪০,০০০ এরও বেশি নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি