ইরানে ‘কঠোর হামলা’র ইঙ্গিত ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সম্প্রতি একটি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানে আক্রমণের পর বিশ্ব আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বুঝতে পারবে’। এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সম্ভাব্য বড় ধরণের সামরিক পদক্ষেপ সম্পর্কে ইঙ্গিত দিলেন গ্যালান্ট। যা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে ইসরাইলি নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। গ্যালান্টের সাম্প্রতিক মন্তব্য চলমান উত্তেজনাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ইসরাইল মনে করে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার পথে এগিয়ে চলেছে। যা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় ধরনের হুমকি তৈরি করবে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা বহুবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে ইরানকে প্রতিহত করতে সামরিক পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া গ্যালান্টের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কারণ ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর আলোচনা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনও চলছে। ইরান যদিও তার পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কথা বলে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে দেশটির এই দাবি নিয়ে ব্যাপক সংশয় রয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রশ্ন ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ হবে। ইসরাইলের সম্ভাব্য আক্রমণ ও এর পরবর্তী ফলাফল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ ধরনের হুমকিমূলক বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন তরঙ্গ তৈরি করতে পারে এবং বিশ্বজুড়ে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল