ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে চিয়া বীজের ফেসমাস্ক
ত্বককে গ্লাসের মতো চকচকে, সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে রূপসচেতনদের চিন্তার শেষ নেই। ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান, ভেষজ থেকে শুরু করে বীজও নিরীক্ষা থেকে বাদ যায় না। সোস্যাল মিডিয়ায় বিউটি ইনফ্লুয়েন্সাররা এখন চিয়া বীজ দিয়ে রূপচর্চার উপায় বাতলে দিচ্ছেন। আর সে সব ফেসমাস্ক ইন্টারনেটে ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে। চিয়া বীজের ফেসমাস্ক বর্তমানে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন পাওয়ার জন্য সকলেই মরিয়া। এজন্য নানা কোরিয়ান বিউটি প্রোডাক্টও কেনেন। তবে চিয়া বীজের ফেসমাস্ক দিয়েই কাচের মতো ঝকঝকে ত্বক পাওয়া যায় বলে দাবি বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের। চিয়া বীজের গুণাগুণ চিয়া বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ফ্রি র্যা ডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না। দেখা যায় না রিঙ্কেলস ও বলিরেখা। অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিও রুখে দিতে পারে এই বীজ। এছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই বীজ ত্বকের কোষে কোষে পুষ্টি জোগায়। এ কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। ত্বকে ময়শ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে চিয়া বীজ। তাই এই বীজের ফেসমাস্ক লাগালে ঝকঝকে ত্বক পাওয়া কোনো ব্যাপারই নয়। ফেসমাস্ক বানানোর পদ্ধতি ফেসমাস্ক বানাতে লাগবে দেড় টেবিল চামচ চিয়া বীজ। এর সঙ্গে দিতে হবে অর্ধেক কাপ হুইপিং ক্রিম। দুটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। হুইপিং ক্রিমে ল্যাকটিক অ্যাসিড আছে। এই উপাদান প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটরের কাজ করে। ফলে ত্বকের উপরের মৃত কোষ দূর হয়। ফ্যাট সমৃদ্ধ হুইপিং ক্রিম ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। তাই এই ফেসপ্যাক মাখলে ত্বকের বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া চামড়াও মিলিয়ে যায়। ১ ঘণ্টা পর ওই মিশ্রণ ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। এরপর মিক্সারে ১-২ টেবিল দুধ বা দই দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তাতে ১ টেবিল চামচ মধু দিন। এ মিশ্রণটি পুরো মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৪০ মিনিট পর ক্লিনজ়ার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ১-২ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।