পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পৃথক দুই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ছয় কর্মকর্তার ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন-মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) রাজন কুমার দাস, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডিজিএম দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম রাহাত, নেত্রকোনার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি। শুক্রবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখা) আরশাদ হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কতিপয় বিপথগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদদে নানা অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাÍক কার্যক্রমে লিপ্ত আছেন তারা। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার শামিল। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি করেছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে জনমনে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে, যা দেশদ্রোহীতার শামিল।