চাকরিচ্যুত হয়ে ফারুকের সমালোচনায় মুখর হাথুরু
চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার বিরুদ্ধে জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচরণ এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে বিসিবির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না এই লংকান কোচ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে কাঠগড়ায় তুলেছেন হাথুরুসিংহে। তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে এই লংকান কোচের ভাষ্য, ‘এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে আমার। নতুন সভাপতির (ফারুক আহমেদ) মেয়াদের প্রথম দিনেই তিনি প্রধান কোচ অপসারণের ইচ্ছার কথা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।’ ‘এরপর আরেকজন প্রধান কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে শোকজ নোটিশ পেয়ে আমি হতভম্ব। সেখানে বলা হয়েছে যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য হাতে আছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ঘটনার ক্রমধারা এই কর্মকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে’-যোগ করেন হাথুরুসিংহে। এসব অভিযোগের মাধ্যমে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করেন হাথুরু, ‘আমি আমার সম্মান রক্ষা করতে সংকল্পবদ্ধ এবং এই বিষয়ে যেকোনো তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবে এবং আমি আমার ভালোবাসার খেলাতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে পারব।’ হাথুরুসিংহে দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম মেয়াদে (২০১৪-২০১৭) তার অধীনে বাংলাদেশ দল কিছু সাফল্য পেলেও দ্বিতীয় মেয়াদে (২০২৩-২০২৪) ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত দুই দিনের নোটিশেই হেড কোচের চাকরি থেকে ছাঁটাই হলেন এই লংকান কোচ।