‘থাড’ নিয়ে ইসরাইলকে যে সতর্কবার্তা দিল ইরান
ইসরাইলে ‘থাড’ নামের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে ইসরাইল এই ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এ বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তিনি বলেছেন, থাড ইসরাইলকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। বৃহস্পতিবার ইসফাহানে সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর হাতে শহিদ জেনারেল আব্বাসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর তাসনিম নিউজের। ইসরাইলের উদ্দেশ্যে হোসেইন সালামি বলেন, থাডের ওপর নির্ভর করবেন না, আপনারা অন্যকে হত্যা করে নিজেরা নিরাপদে থাকতে পারবেন না। আমরা আপনাদের দুর্বলতাগুলো জানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত রোববার ঘোষণা করেছে, তারা ইসরাইলে থাড এবং ১০০ সেনা পাঠাচ্ছে। এটি ইসরাইলের সামরিক সহায়তার সর্বশেষ পর্যায়। সালামি আরও বলেন, যদি ইসরাইলি বাহিনী আমাদের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেন, তবে আমরা আপনাকে আবার যন্ত্রণাদায়কভাবে আঘাত করব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা ইসরাইলকে আঘাত করতে পিছপা হই না। এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলকে এ অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তার নির্দেশেই আইডিএফকে অস্ত্র ও সেনা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে পেন্টাগন ও আইডিএফের যৌথ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি। তার দাবি, মার্কিন নাগরিকদের জীবনরক্ষায় ইসরাইলের অস্ত্রভাণ্ডারকে তিনি শক্তিশালী করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, একদিকে ইসরাইলকে আল্টিমেটাম, অন্যদিকে সামরিক সহায়তার পদক্ষেপ হোয়াইট হাউজের চরম দ্বিমুখীতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র মুখে যুদ্ধ বন্ধের কথা বললেও বাস্তবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। নির্বাচনি প্রচারের শেষ মুহূর্তে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জনে বাইডেন প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ বলেও মনে করেন তারা। বাইডেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অমান্যেরও অভিযোগ আনেন তারা। যদিও কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া যুদ্ধে জর্জরিত আরেক অঞ্চলে এমন অস্ত্র ও সেনা সহায়তাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন জো বাইডেন।