বাজার এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে: গণতন্ত্র মঞ্চ

১৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

দেশে দ্রব্যমূল্যের বাজারের অস্থিরতার জন্য আওয়ামী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোট নেতাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের বাজার এখনো আওয়ামী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি। সেখানেও পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সক্রিয়। বুধবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব অভিযোগ করেন। তারা বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের গণতান্ত্রিক লড়াই এবং ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের জনগণ দুর্নীতি, লুটপাট, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল। একদিকে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের অপতৎপরতা, অন্যদিকে সরকারের নানাবিধ সীমাবদ্ধতা সেই প্রত্যাশাকে সংকুচিত করছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি রোধ করা যাচ্ছে না। এখনো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। স্বৈরাচারের পতন হলেও বাজার সিন্ডিকেট এখনো আওয়ামী দোসরদের দখলে। সরকার সিন্ডিকেট ভাংতে পারেনি এবং কার্যকর পদক্ষেপও নিতে পারেনি। সরকারের প্রতি অবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া সহ গণতন্ত্র মঞ্চ কেন্দ্রীয় নেতারা। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতির সরকারের প্রতি আন্দোলনকারী যতগুলো শক্তি ছিল, সবাই সমর্থন করছে। সবাই মিলে বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে দেশটাকে গণতান্ত্রিক মানবিক রাষ্ট্র গড়বো। উন্নত দেশ গড়বো। এইটা যৌথ কাজেরই দায়িত্ব। যেহেতু আমরা রাজনৈতিক দল, তাই কোনো সমর্থনই একেবারে নিরঙ্কুশ হতে পারে না। সমর্থনের ক্রিটিক্যাল আই থাকা উচিত। সচেতন করা এবং পরামর্শ দেয়া অব্যাহত থাকতে হবে। সরকারের ভুল হতে পারে, সেগুলো দেখিয়ে দেয়াও আমাদের দায়িত্ব। কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত, ধারণা দেয়া উচিত। জনগণকেও সজাগ করা উচিত।’ অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা আরও বড় উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দেবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব। একইসঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারে তারাই নেতৃত্ব দেবে। এতে যে সময় লাগবে, তা আমরা দেবো। সরকার কীভাবে কাজ করতে চায়, সে অনুযায়ী আমরা পরামর্শ এবং সময় দেবো। পাশাপাশি যতগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা বা সংকট দেখা দেবে সেগুলো তোদেরই সফলভাবে সমাধান করতে হবে।’