ডিজিটাল পদ্ধতিতে মতামত নেবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন
নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা ও আইনি সংস্কারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মতামত চাইবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মতামত নিতে চলতি সপ্তাহে ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও ই-মেইল আইডি প্রকাশ করবে কমিশন। সোমবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যে কোনো মতামত দিতে পারেন দাবি করে তিনি বলেন, উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব ও সুপারিশ চাইব। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে। মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয় নির্দিষ্ট করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উন্মুক্ত মতামত নেব। কোনো বিষয় নির্দিষ্ট করে দেব না। বিগত সংসদ নির্বাচনে যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো কমিশন চিহ্নিত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো কিছু হয়ে থাকলে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করব। নির্বাচনি প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে যেসব ব্যত্যয় পাওয়া যাবে, তা চিহ্নিত করে এ বিষয়ে সুপারিশ করব। অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব। নির্বাচনের কোন বিষয়গুলোয় সংস্কার আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন ও বিধিমালার লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল। সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন, ভোটার তালিকা আইন, ইসি সচিবালয় আইনÑসবই দেখছি। গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। কী কী বিষয়ে সুপারিশ করব, তা এখনো বলার মতো অবস্থায় আসেনি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যখন চাইবে আশা করি তখনই আমরা ওনাদের একটা খসড়া দিতে পারব। এটার সঙ্গে অনেক বিষয় যুক্ত আছে। আলোচনার ভিত্তিতে হলে ভালো হবে। জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ করবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটাও আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। এ বিষয়ে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।