‘হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি’
শেখ হাসিনাকে ভারত সরকারের ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে ‘গণহত্যাকারী’ হাসিনাকে আশ্রয় এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যুর ব্যাপারে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক জবাব চাইতে হবে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নেতারা এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি সিরাজ মিয়াসহ গণতন্ত্র মঞ্চ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের নেতারা। শেখ হাসিনাকে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যার নির্দেশদাতা উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সারা পৃথিবীর মানুষের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আঘাত করেছে। তারা শুধু আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি, সম্প্রতি তারা শেখ হাসিনার নামে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে, যা ব্যবহার করে তিনি পৃথিবীর যে কোনো দেশে ভিসা আবেদন করতে পারবেন, ভ্রমণ করতে পারবেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত, শতাধিক হত্যা মামলার আসামিকে এ বিশেষ সুবিধা প্রদান জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। শেখ হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যুর পরও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষায় আঘাত করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তারা বলেন, সরকারকে অবিলম্বে গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যুর ব্যাপারে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক জবাব চাইতে হবে। একইসঙ্গে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী, এমপি, দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নেতারা জানান, ১৬ অক্টোবর (বুধবার) বেলা ১১টায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।