ইহুদিদের ‘বিশেষ দিনে’ ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইহুদিদের বিশেষ উৎসব ‘ইয়োম কিপুর’র ছুটির মধ্যেই তেহরানে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। তবে এখনো হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি দেশটির মন্ত্রিসভা। গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডার হত্যার প্রতিক্রিয়া। এর পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভয়ংকর প্রতিশোধের হুমকি দেন। ১০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা করা হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। শুক্রবার (১২ অক্টোবর) এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েল লেবানন ও গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। তেল উৎপাদক দেশ হিসেবে পরিচিত ইরান ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলার বিপরীতে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছে এর মধ্যেই। ইসরায়েলের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, তেল উৎপাদন কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল হামলার মাত্রা কিছুটা কমাতে পারে। নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, যেখানে ইরানে হামলার বিষয়ে পরামর্শ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলকে ‘অতিরিক্ত’ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। তারা লেবাননের রামিয়া অঞ্চলে একটি টানেলও আবিষ্কার করেছে, যেখানে অস্ত্র ও রসদ পাওয়া গেছে। অপরদিকে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রকেট ও মিসাইল দিয়ে হামলা বাড়াচ্ছে, যার ফলে বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে। এদিকে ইরান এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যাতে ইসরায়েলকে আকাশসীমা ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইহুদিদের ‘বিশেষ দিনে’ ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল! উল্লেখ্য, বিশেষ ‘ইয়োম কিপুর’ দিনটিতে ইহুদিরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রার্থনা ও উপবাস পালন করে, যা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এ কারণে, ইসরায়েলের হামলা সেই দিনটি চিহ্নিত করতে পারে, যখন সবকিছু বন্ধ থাকে এবং সরকারের পক্ষ থেকে একটি নীরবতা বজায় রাখা হয়।