আইন ও গণপূর্ত উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় তারা ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেন। ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম তাদের ট্রাইব্যুনালের ভবন ও ভবনসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখান। পরে তাজুল ইসলাম বলেন, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এসেছিলেন মূলত ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবন যেখানে বিচার কার্যক্রম হবে সেটার যে সংস্কার কাজ চলছে তা দেখতে। এ সময় গণপূর্তের প্রকৌশলীরাও সঙ্গে ছিলেন। তাদের থেকে কাজের অগ্রগতি জেনেছেন। উপদেষ্টারা যতদ্রুত সম্ভব তাদের সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, গণহত্যাসহ সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগ আনা হয়েছে দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তৎকালীন পুলিশ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সদস্য, র্যাবের সাবেক ডিজি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংশ্লিষ্ট সদস্য, ১৪ দলের নেতারা এবং দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, পৃথকভাবে ১৪ দলের বিরুদ্ধে।স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার আরেকটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। সর্বশেষ একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলমান ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের আগে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরে যান। পরে অপর দুই সদস্যের মধ্যে একজনকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে আনা হয়। আর আরেকজন অব্যাহতি নেন। ফলে কার্যত এখন কোনো বিচারিক প্যানেল নেই। সরকার বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অপরাধের ঘটনার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করবেন। অপরদিকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আশা করছেন, শিগগিরই বিচারক নিয়োগ দেবে সরকার।