নতুন ভারতের সঙ্গে পুরোনো বাংলাদেশ

৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের আনন্দ মাটি করার মতো গরম গোয়ালিয়রে। স্থানীয় এক সাংবাদিক তাই তাওহিদ হৃদয়ের কাছে জানতে চান, ‘এই গরমে খেলবেন কিনা।’ ঝটপট উত্তর, ‘আমরা অভ্যস্ত। বাংলাদেশেও এ রকম গরম থাকে।’ গোয়ালিয়রের গরম, নিরাপত্তা বা অন্য কোনো ইস্যুতে অভিযোগ নেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। তাদের ফোকাস মাঠের ক্রিকেটে। রাজা মাধবরাও সিন্ধিয়ার নামে গড়ে ওঠা এ জেলার নতুন ভেন্যুতে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন টাইগারদের। সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ-ভারত লড়াইটা ভালোই জমে। বিশ্বের যেখানেই এ দু’দলের খেলা হোক, লড়াই করার মানসিকতা দেখান বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। ২০১৬ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপ ফাইনাল, বেঙ্গালুরুতে টি২০ বিশ্বকাপ ম্যাচ, ২০১৮ সালে কলম্বোতে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে জিততে জিততে হেরে গেলেও উত্তেজনা ছিল উপভোগ করার মতোই। এই লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে ২০১৯ সালে আরাধ্য জয়ের দেখা মেলে দিল্লিতে। ভারতের মাটিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাজিমাত করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। টি২০তে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই একটিই জয়। যাদের পারফরম্যান্সে জয় এসেছিল, সেই তিন ক্রিকেটারের কেউই নেই বর্তমান দলে। তার পরও বাজিমাত করার বার্তা দেন হৃদয়, ‘আমরা জেতার জন্যই খেলব। আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য আছে সিরিজ জেতার জন্য ভালো ক্রিকেট খেলা। ম্যাচ ধরে ধরে কীভাবে ভালো করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।’ টি২০ ফরম্যাটে ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও তাদের বর্তমান দলটির বেশির ভাগ ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কম। সূর্যকুমার যাদব ও সঞ্জু স্যামসন অভিজ্ঞ। অভিষেক শর্মা, রিংকু সিং মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য বেশি হুমকি হয়ে উঠতে পারেন ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা মায়াঙ্ক যাদব। তবে ২০ ওভারের খেলায় স্বাগতিক ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কারণ নাজমুল হোসেন শান্তদের দলটি মোটামুটি অভিজ্ঞ। সাকিব আল হাসান ছাড়া মোটামুটি বিশ্বকাপ দলই খেলছে। তারকা এ অলরাউন্ডারের জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজ নিজেকে মেলে ধরতে পারেন নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে। সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামের কিউরেটর মনোহর জামলে জানান, উইকেটে রান আছে। আন্তঃজেলা টি২০ টুর্নামেন্টে দুই শতাধিক রান উঠেছে বলে জানান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিক প্রত্যুষ রাজ। হৃদয় আবার উল্টোটাই বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে। সেন্টার উইকেটে তিন দিনের অনুশীলনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান, স্লো ও লো উইকেটে খেলা হবে। যেখানে রান বেশি হবে না। সত্যি সত্যি স্লো উইকেট হলে বাংলাদেশের ভালো করার সুযোগ বেড়ে যাবে অনেকাংশেই। কারণ এ ধরনের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শেখ মেহেদিকে নিয়ে গড়া স্পিন আক্রমণ মন্থর উইকেটে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।