বগুড়া ও বুড়িচংয়ে আ.লীগের ৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বগুড়ার তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অবৈধ অস্ত্রসহ বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখলাক হায়দারের ভাগিনা যুবলীগ নেতা মোতাব্বের হোসেন জনিকে গ্রেফতার করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। যৌথ বাহিনী তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ব্যুরোর পাঠানো খবরÑ বগুড়া : পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার শাজাহানপুরের ফুলতলা থেকে তিনজন, নন্দীগ্রামে চারজন ও গাবতলীতে একজনকে গ্রেফতার করে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুমন রঞ্জন সরকার ও অন্য কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। গ্রেফতার নেতাকর্মীরা হলেনÑবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলার মৃত শুকুর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মো. ঝন্টু ও সোলাইমান আলীর ছেলে মো. মানিক এবং চককানপাড়ার বাকিরুলের ছেলে মো. বাপ্পী। নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ মামুন, নন্দীগ্রাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফেরদৌস আলম, আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুদ রানা ও ভাটরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও গাবতলীর পাইকারপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা আজিজার রহমান পাইকারের ছেলে যুবলীগ নেতা নিরাশ পাইকার। বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, ঝন্টুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ ১২টি, মানিকের বিরুদ্ধে দুটি চাঁদাবাজি ও বাপ্পীর বিভিন্ন দুটি মামলা রয়েছে। এরা সদর থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর মামলার আসামি। নন্দীগ্রাম থানার ওসি তারিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গাবতলী থানার ওসি আশিক ইকবাল বলেন, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন রনি তার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর গাবতলী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লা : গ্রেফতার মোতাব্বের হোসেন জনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবহণ সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতেন। ফারজানা পরিবহণ নামের বাস সার্ভিসটি তার মালিকানাধীন ছিল। জনির বড় মামা বুড়িচং উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, মেজো মামা কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ছোট মামা ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। জনির কাছ থেকে ১টি বিদেশি এয়ারগান, ১৪টি দেশীয় তলোয়ার, ১টি লোহার তৈরি চাকতি, ৩টি চাকু, ৫টি স্টিক ও নগদ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জনি ও তার কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।