আজ শুভ মহালয়া

২ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ বুধবার। সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর আটটি মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। এ দিন থেকেই শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের। শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে আজ ভোর থেকেই ছিল চণ্ডীপাঠের আয়োজন। আর এই চণ্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো মহালয়া। পুরাণ মতে, এ দিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। এ বছর দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী ৯ অক্টোবর থেকে। ওই দিন মহাষষ্ঠী। পরদিন মহাসপ্তমী। ১৩ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষেরা মর্ত্যলোকের কাছাকাছি চলে আসেন। তারা তৃষ্ণার্ত থাকেন। এদিন তর্পণের মাধ্যমে তাদের জলদান করা হয়। ভোর থেকেই সব পূজামণ্ডপে ছিল তর্পণের অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। রাজধানীতে আটটি মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। মন্দিরগুলো হলো— শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা কমিটি, ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি, উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল সাড়ে ৭টায় পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় তিল তর্পণ অনুষ্ঠান এবং সকাল সাড়ে ৮টায় মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠান ছিল।