লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০৫
সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পরও লেবাননে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ সেপ্টম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাদে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও একটি রক্তাক্ত দিন পার করেছে লেবানন। দেশটিতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫৯ জন। লেবাননে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ সিডনের কাছে আইন আল-দেলব এলাকায় দুটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হামলা করা এ ভবনে অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবার আশ্রয় নিয়েছিলেন। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ও গ্রামাঞ্চল, বেকা, বালবেক-হারমেল এবং বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে এ হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননের বিভিন্ন রাজনীতিবীদরা ইসরায়েলের এ হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন। এদিকে ইয়েমেনের দুই বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। এতে তিন প্রকৌশলীসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিশানা করে তারা ব্যাপক আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর ফলে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের এ হামলায় যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি কয়েক ডজন আকাশযান অংশ নিয়েছে। রাস ইসা ও হোদেইদাহ পোর্ট এবং পাওয়ার প্লান্টে এ হামলা চালানো হয়েছে। হুতিদের সংশ্লিষ্ট আল মাসিরাহ টিভি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বন্দরের কর্মী এবং তিনজন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলে এ হামলার কারণে লেবানন থেকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি এক এক্স পোস্টে জানান, হামলার কারণে লেবাননের অভ্যন্তরেও দুই লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। লেবানন ও সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।