জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আইসিসিতে মামলার প্রক্রিয়া জানতে চান ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর করিম খান। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা নির্বাসনের ব্যাপারে তদন্তকার্যে উন্নতির জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেন করিম খান। ২০১৯ সালে আইসিসি এই ইস্যুতে তদন্ত শুরু করেছিল। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রফেসর ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন করিম খান। গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সে প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিন দফা প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বিশ্লেষণ এবং সংকট থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে জরুরিভিত্তিতে জাতিসংঘ প্রধানকে একটি সভা আয়োজন করতে হবে। মানবিক সংকট নিরসনে যৌথভাবে কাজের গতি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। প্রফেসর ইউনূসের এই তিন প্রস্তাব নিয়ে আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম খান বলেছেন, ‘এই তিনটি প্রস্তাব যথার্থ।’ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনায় আইসিসিতে মামলা করা নিয়েও আলোচনা করেছেন প্রফেসর ইউনূস ও করিম খান। এ সময় আইসিসি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে মামলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কর্মসূচি চলাকালে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দমনপীড়নে বহু মানুষ প্রাণ হারান। সরকারি হিসাবে সে আন্দোলনে প্রায় ৭০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ২০ হাজারেরও অধিক। প্রসঙ্গত, প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এই বছরের শেষদিকে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম খান।