দ্রুত রোডম্যাপের তাগিদ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না পাওয়ায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে। তবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে দলগুলো। নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন। তবে নির্বাচন, সংস্কার ও সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি রোডম্যাপ চান দলগুলোর নীতিনির্ধারকরা। তাদের মতে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তারা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন, আগামী দিনেও করবেন। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। তা না হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকছেই। সেক্ষেত্রে বাড়বে সামাজিক অস্থিরতা, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ। সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হলে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষনেতাদের অভিমত-তারা যেহেতু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে ছিলেন, নির্বাচনি প্রস্তুতি আছে। রোডম্যাপ ঘোষণার পরপরই এককভাবে না জোটগত নির্বাচন করবেন-সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা মনে করি, নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। যত দেরি হবে, তত দেশের ক্ষতি হবে, তত সমাজের ক্ষতি হবে, রাজনীতির ক্ষতি হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। সেজন্যই নির্বাচনের দরকার। এটা প্রমাণিত যে গণতন্ত্রই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। আর যখন গণতন্ত্র ভালো হবে, তখন জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা ওতপ্রোত হয়। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মনে করেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। নির্বাচন কমিশনে যতটুকু স্বাধীনতা নিশ্চিত হওয়া দরকার, সেসব প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। অন্তর্র্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে নিউইয়র্কে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে এক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এর আগে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান যে কোনো পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকারের কথা জানান। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এ সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের এ বক্তব্যে নির্বাচনের সময় নিয়ে একটা ধারণা পাওয়া গেল বলে কোনো কোনো দল মনে করছে। প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে এখনই কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরে মঙ্গলবার দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা যেটা বলেছি, খুব লম্বা সময়ও নয়, স্বল্প সময়ও নয়-শুধু একটা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটুকু করতে যে সময়, সেই সময়টুকুই নেওয়া উচিত। দিন-মাস-ঘণ্টা এখনই বেঁধে দেওয়ার মতো ম্যাচুরিটি আসেনি। পরিস্থিতি আরেকটু পরে গেলে হয়তো নির্দিষ্ট দিনের কথা বলতে পারব। আরেকটু দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র দেড় মাস সময় হলো। অনেক সংস্কার প্রয়োজন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য। আরেকটা কথা হলো, রাষ্ট্রে সংস্কার অনেকগুলো, সেগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করতে পারবেন। কিন্তু অরাজনৈতিক এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হলো একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম যে সংস্কারটুকু দরকার-জনপ্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অকেজো হয়ে আছে, এ জায়গায় হাত দিতে যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময় নেওয়াই উচিত। তাহলে জাতি বুঝতে পারবে কোন সময় গ্রহণযোগ্য। এখানে মাস-দিন-ঘণ্টার চেয়ে পরিস্থিতিটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। সেটুকুকেই আমরা যৌক্তিক বলে মিন করেছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের দুই শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি কথার মধ্যে তেমন একটা তফাত নেই। আমরাও বলে আসছি প্রয়োজনীয় সংস্কার আগে, নির্বাচন পরে। কারণ, যেনতেন কায়দায় নির্বাচন হলে তা ভালো ফল বয়ে আনবে না। এজন্য সংস্কারে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, যতটুকু সম্ভব দ্রুত করলে জনগণের মধ্যে কোনো সংশয় থাকে না, কোনো বিতর্ক আসে না। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ৩০০ আসনে প্রার্থিতা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। তবে এবার ৩০০ আসনে দেওয়ার ঘোষণা করছি না। কারণ, একটা সমঝোতা বা ঐক্যের চর্চা চলছে। এজন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে থাকব। যদি ঐক্য বা সমঝোতার পরিবেশ হয় নিতে পারি। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমি মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধানের বক্তব্যে দেশবাসী আশ্বস্ত হবে। নির্বাচনের জন্য এক থেকে দেড় বছর লাগবে বা সময়টা কী হবে, তা সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ জরুরি। নির্বাচন কমিশনই এখন পর্যন্ত গঠিত হয়নি। নির্বাচনি ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনসহ অনেক গণতান্ত্রিক সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই কাজগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন করাটা জড়িত। তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রধান ম্যান্ডেড হচ্ছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। যেসব জরুরি পরিবর্তন বা সংস্কারগুলো আছে, সরকার সেগুলোকে অগ্রাধিকারের মধ্যে রেখে এ ব্যাপারে কাজ করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বোঝাপড়া থাকলে এসব কোনো সমস্যা না। নির্বাচন নিয়ে দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যা বলেছেন, এর মানে হলো বাংলাদেশে ১৫ বছরে যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ দেখেনি, এবার আশা করছি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথেই তারা হাঁটবেন। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশের যে নতুন বন্দোবস্ত, সংস্কার ইত্যাদি কাজগুলো সুনির্দিষ্ট করা দরকার। সে কাজ বাস্তবায়নের সময়সীমা কতটুকু, সেটি নির্ধারণ করা দরকার। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের তারিখও সুনির্দিষ্ট হয়ে যাবে। এটি সরকারকে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স মনে করেন, নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এ সময় আমরা অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে শুনতে চাই। প্রধান উপদেষ্টার কথায়, এটা সুনির্দিষ্ট হয়নি। সেনাপ্রধানের কাছ থেকে অন্তত তাদের কথা, সময় জানা গেল-এজন্য ধন্যবাদ জানাই। সংস্কার একটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। এটি চলমান থাকবে। এটি সবার মনে রাখতে হবে। এছাড়া মনে রাখতে হবে, এ সরকার নিয়মিত সরকার না। তারা রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংস্কারের প্রস্তাব তৈরি করবে। সম্ভব হলে কিছু কাজ শুরু করবে। পরে এ কাজ এগিয়ে নেবে নির্বাচিত সরকার। আর নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে এখনই আলোচনা শুরু করা জরুরি কাজ। নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাই প্রধান কাজ হতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে যে ক্রইসিস, সেখানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অতুলনীয়। আমরা একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম, আমাদের সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে বলেছেন, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন যাতে হতে পারে, এটা আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক দিক। কতদিন লাগতে পারে, কী হতে পারে-এসব প্রশ্ন কাজ করছিল, সেখানে একটা গাইডলাইন পেয়েছি। আর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকেও ইতিবাচকভাবে দেখি। নির্দিষ্ট তারিখটা কবে হবে, সেজন্য কিছু হোমওয়ার্ক আছে, কিছু সংস্কার আছে-এসব গুরুত্বপূর্ণ। ভোটার হালনাগাদ খুব একটা কঠিন ব্যাপার না। কারণ, সব ডিজিটালাইজড। নির্বাচনি সংস্কারের বিষয়গুলো যে কমিশন করেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে সময় দিয়ে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেন, আমাদের পজেটিভ বিষয়গুলো দেব। তা যদি ওনাদের বিবেচনায় নেন, আমার মনে হয় দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তারিখ তো সরকারই দেবে, নির্বাচন কমিশনই দেবে। নতুন নির্বাচন কমিশনও তো নিতে হবে। কিছু কাজ তো আছেই। নির্বাচনি প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে অনেক কিছু স্পষ্ট হবে। প্রস্তুতি তো আছেই। এখন নির্বাচনি ঐক্য হবে কি হবে না-এসব বিষয় আরও পরে বলা যাবে। আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সেনাপ্রধান যে দেড় বছরের কথা বলেছেন, এটি নিশ্চয়ই উনি এমনি এমনি বলেননি। উনি তো বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে দেখা হয়, সরকারের সঙ্গে ওনার ভালো সম্পর্ক আছে, সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিচ্ছেন। আমার ধারণা, দেড় বছরের কথা সরকারের সঙ্গে আলাপ করেই বলেছেন। আর দেড় বছরের মধ্যে সবকিছু শেষ করা সম্ভব কি না, এটা সরকার যদি আন্তরিক হয় আমরা মনে করি কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি নিয়ে ভাবনা আছে। কিন্ত সাধারণ মানুষের ভাবনা হচ্ছে-তাদের জীবনমান, তাদের নিরাপত্তা, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সরকার যদি এগুলো স্বাভাবিকভাবে মানুষকে নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মানুষের হয়তো প্রেসার থাকবে না। কিন্তু সেটা না পারলে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ, সরকারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে সরকার হয়তো তখন বাধ্য হয়ে নির্বাচন এগিয়ে আনতে পারে বলে আমাদের ধারণা। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে ছিলাম, আমাদের একটা নির্বাচনি প্রস্তুতি হয়েই আছে। এটা নির্ভর করবে আমরা কি এককভাবে নির্বাচন করব, না জোটে যাব। এটা পরিস্থিতি কী হয়, সেটার ওপর নির্ভর করবে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, নির্বাচন কবে হবে, তা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করার পরে সরকারকে ঠিক করতে হবে। নির্বাচন তো সবারই চাওয়া। যত দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে, তত দ্রুত দেশের জন্য মঙ্গল হবে। যত দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন করা যাবে, ততই দেশের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা প্রত্যাশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো কেউ কেউ ৬ মাস, কেউ ১ বছরের মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে। এটা আসলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সময়টা নির্বাচন করা উচিত। আমি মনে করি, এক বছরের মধ্যেই চাইলে নির্বাচন সম্ভব, এক বছর যথেষ্ট সময়। কারণ, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে দেশে বিনিয়োগ আসবে না। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। সেক্ষেত্রে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি একটা অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকে।