রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হলুদমিশ্রিত দুধ
ঋতু পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় জ্বর-সর্দি-কাশি হয়ে থাকে। ভাইরাস জ্বর ও ঠান্ডা-কাশি থেকে বাঁচতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে হলুদ মেশানো দুধ। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও অনেক ভিটামিন পাওয়া যায়। এটি শরীরে শক্তি বাড়াতে যেমন কাজ করে তেমনই প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক হিসেবেও বিবেচিত হয়। অনেক আগে থেকেই আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এটি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভালো ঘুমের জন্য হলুদ মেশানো দুধ খেতে পারে। এতে অনিদ্রার সমস্যায় দূর হয়। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস হলুদ-দুধ পান করুন। এটি আপনার ঘুমের মান আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হলুদে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ হলুদ-দুধ খেলে কাশি, সর্দি, ফ্লু এড়াতে পারবেন। ব্যথা কমায় হলুদে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যাদের জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা আছে তাদের জন্য হলুদের দুধ একটি ভালো প্রতিষেধক। এটি ফোলা এবং ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। যাদের মাথাব্যথার সমস্যা আছে তারাও হলুদ-দুধ পান করতে পারেন। হলুদ আর দুধ একসঙ্গে খেলে গ্যাসের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যায়। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবও দূর করে। ওজন কমায় যারা ওজন কমাতে চান তারা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদমিশ্রিত দুধ পান করতে পারেন। এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। হলুদে থার্মোজেনিক নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য উপকারী কয়েক শতাব্দী ধরে ত্বকের জন্য হলুদ ব্যবহৃত হচ্ছে। এই মশলা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করে। হলুদ দুধ খেলে আপনার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। যেভাবে হলুদমিশ্রিত দুধ তৈরি করবেন প্রথমে দুধ ফুটিয়ে নিন। এক চিমটি হলুদ এবং চিনি যোগ করুন। ঘুমানোর ঠিক আগে এটি হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। আপনার যদি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা থাকে তাহলে হলুদ দুধে এক চিমটি জায়ফল মিশিয়েও পান করতে পারেন।