নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত
যে কোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো সম্পন্ন করতে এই সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তার মতে, দেড় বছরের মধ্যেই আমাদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত এবং সেনাবাহিনী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। তার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রয়টার্স। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এ বিষয়ে তাদের দলীয় বক্তব্য কাছে তুলে ধরেছেন। জাতীয় নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা। সেনাপ্রধান আঠারো মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা মনে করেন নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। নির্বাচন যত দ্রুত হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। সেজন্যই নির্বাচনের দরকার। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সেনাপ্রধান হিসাবে তার অবজারভেশন তো উনার কাছে, উনার বিবেচনা থেকে বলেছেন-তা নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা যেটা বলেছি, খুব লম্বা সময়ও নয়, স্বল্প সময়ও নয়-শুধু একটা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেটুকু করতে যে সময় সেই সময়টুকুই নেওয়া উচিত। দিন-মাস-ঘণ্টা বেঁধে দেওয়ার মতো ম্যাচুরিটি এখনো আসেনি। পরিস্থিতি আমরা আরেকটু পরে গেলে হয়তো নির্দিষ্ট দিনের কথা বলতে পারব। আরেকটু দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র দেড় মাস সময় হলো। অনেকগুলো সংস্কার প্রয়োজন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য। আরেকটা কথা হলো যে, রাষ্ট্রে সংস্কার অনেকগুলো, সেগুলো একটা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা করতে পারবে। কিন্তু অরাজনৈতিক এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হলো-একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম যে সংস্কারটুকু দরকার-জনপ্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অকেজো হয়ে আছে, এই জায়গাতে হাত দিতে যেটুকু সময় লাগে সেটুকু সময় নেওয়াই উচিত। তাহলে জাতি বুঝতে পারবে কোন সময় গ্রহণযোগ্য। এখানে মাস-দিন-ঘণ্টার চেয়ে পরিস্থিতিটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। সেটুকুকেই আমরা যৌক্তিক বলে মিন করেছি।