অভিমান করে ফেসবুকে স্টাটাস, অতপর…
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের এক কিশোরের ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে একদিন পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল কিশোরের মৃতদেহ। নাম প্রীতম চক্রবর্তী (১৭)। সে কাপ্তাই উপজেলার ২নম্বর রাইখালী ইউনিয়ন এর লেমুছড়ি পাড়ার মানিক চক্রবর্তীর ছেলে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন অংশে নদীর পাড়ে প্রীতমের লাশটি পাওয়া যায়। ওই কিশোর কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। রাইখালী ইউপি সদস্য মো. নাছের জানান, ওই কিশোর তার পরিবারের সাথে অভিমান করে বৃহস্পতিবার ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে শুক্রবার বেলা ১টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা অংশে নদীর পাড়ে সেই কিশোরের লাশটি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিবারের সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে লাশটি যেহেতু দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় পাওয়া গেছে সেই থানায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোর পরিবারের সাথে অভিমান করে ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেয়।যেখানে সে তার মা, পরিবারের কথা ছাড়াও একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল বলে উল্লেখ করেছে। এবং স্টাটাস এর শেষে লিখেছে ভালো থাকুন সবাই, ভালো থাকুক প্রিয় মানুষ, ভালো থাকুক আমার মা। চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনচারুল করিম(ওসি) জানান, ওই কিশোরের লাশটি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার আওতাধীন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। তাই আইনি প্রক্রিয়া ওখানেই সম্পন্ন হবে।