ইসরাইলে হিজবুল্লাহর নয়া অভিযান, বাড়ছে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা
লেবাননে ইসরাইলের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি শুক্রবার বলেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এবং দক্ষিণ লেবাননে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় নতুন অভিযান চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা কামানের গোলা দিয়ে ইসরাইলের আল-মালকিয়া সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে সরাসরি আঘাত হেনেছে। হিজবুল্লাহর কাতিউশা রকেটগুলো হারমন ব্রিগেড ৮১০-এর কমান্ড হেডকোয়ার্টার মা'আলেহ গোলানি সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি শোমেরা এবং মেটাত ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ইয়ারা ব্যারাকে ইসরাইলের পশ্চিম ব্রিগেডের কমান্ড হেডকোয়ার্টারও রকেট দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার অধিকৃত গোলান মালভূমিতর গালিলিতে এবং অধিকৃত কাফারচৌবা পাহাড়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে ১৭টি হামলা চালিয়েছে। উত্তর ইসরাইলে হিজবুল্লাহর একটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় দুই ইসরাইলি সেনা নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে। লেবাননে ইসরাইল তার বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন রকেট লাঞ্চারপ্যাডসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে আঘাত হানার দাবি করার পর, নতুন করে এ অভিযান শুরু হয়। লেবাননজুড়ে ইসরাইলের সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার পর, হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবশ্য গাজার ওপর ইসরাইল স্থল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিতভাবে ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে, ইসরাইল আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত হিজবুল্লাহ তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে। সূত্র: আল-মায়াদিন